বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, জুয়েলারি শিল্পের সমস্যা সমাধানে দেশের সব মালিকের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। সব জুয়েলারি ব্যবসায়ী বাজুসের সদস্য হলে এ খাতে শৃঙ্খলা আসবে। তিনি বাজুসের তথ্যবহুল একটি পরিসংখ্যান ভান্ডার গড়ে তোলার ওপরও তাগিদ দেন।

সংগঠনটির নবনির্বাচিত সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর সোমবার রাতে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বিতীয় সভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন। অনুষ্ঠানে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বসুন্ধরা সিটি দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও বাজুসের সহসভাপতি এম এ হান্নান আজাদ। সভায় বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, বাজুসকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত করে তোলা এবং সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এ পথচলা। বাজুসের সেবার পরিধি ও কাজের জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলায় বাজুসের আধুনিক ব্যবস্থাপনার অফিস স্থাপন প্রয়োজন। এ ছাড়া সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে বাজুস সচিবালয় বা সেক্রেটারিয়েট ঢেলে সাজানোর কথা জানিয়েছেন বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেড ও আরিশা জুয়েলার্স লিমিটেডের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর আরও বলেন, আমরা শিল্পটাকে উন্নত করার চেষ্টা করব। আমি এ পর্যন্ত দেখেছি যে জুয়েলারি শিল্পে শুধু আমদানিই করা হয়। এখনো আমরা রপ্তানির ক্ষেত্রে বিকাশ ঘটাতে পারিনি। দেশে জুয়েলারি শিল্পের আরও প্রসার ও রপ্তানি ক্ষেত্রে বিকাশ ঘটাতে হবে। মূলত আমার লক্ষ্যটা থাকবে জুয়েলারি শিল্পের প্রসার। এজন্য ভ্যাট ও কর সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করব। জুয়েলারি শিল্পে বাংলাদেশকে রপ্তানিকারক দেশে পরিণত করার সংকল্প ব্যক্ত করেন দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পোদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক।