বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

কর্মসূচিতে নেই নগর বিএনপির হেভিওয়েট তিন নেতা

রাজশাহী মহানগর কমিটি নিয়ে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

দলীয় কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না বিএনপির হেভিওয়েট তিন নেতা মিজানুর রহমান মিনু, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং শফিকুল হক মিলন। আগে মহানগর বিএনপির সব কর্মসূচিতেই তারা থাকতেন। কিন্তু মহানগর বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর থেকেই নিষ্ক্রিয় এই তিন নেতা।

গত বছর ৯ ডিসেম্বর বুলবুলকে মহানগর বিএনপির সভাপতি ও মিলনকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কমিটি ভেঙে দিয়ে কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয়েছিল ৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি। এই আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে বিএনপির থানা কমিটিগুলো বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। তখন থেকেই মহানগর বিএনপির কর্মসূচিতে মিনু, বুলবুল ও মিলনের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ৯ সদস্যের ওই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দলটির  পেছনের সারির নেতা এরশাদ আলী ঈসাকে। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে মামুনুর রশিদ মামুনকে। বাকি সাতজন ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক। শনিবার নতুন করে আবার আহ্বায়ক কমিটি দিয়েছে কেন্দ্র। এবার কমিটির সদস্য ৬১ জন। তবে আগের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও যুগ্ম আহ্বায়করা পদেই আছেন। শুধু বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সদস্য। এই আহ্বায়ক কমিটি ওয়ার্ড ও থানার পর মহানগর কমিটির সম্মেলনের আয়োজন করবে বলে দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

 দুবার আহ্বায়ক কমিটি হলেও এতে ঠাঁই হয়নি হেভিওয়েট নেতা মিনু, বুলবুল ও মিলনের। অবশ্য মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু এখন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। বুলবুল ও মিলন কেন্দ্রের দুটি পদে আছেন। মহানগর বিএনপি এখন কর্মসূচি পালন করলে অন্য কেন্দ্রীয় পদধারী নেতারা আসছেন।

নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে মহানগর বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনও আসেন। তবে যাননি দলের নেতা রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, আরেক সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও মহানগর কমিটির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন।

আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা বলেন, আমরা ডাকি, কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে তারা আসেন না। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, এখনকার বিএনপি আর আগের মতো নয়। এখন কে কোন প্রোগ্রামে যাবে, কোথায় বক্তব্য দেবে তা কেন্দ্র ঠিক করে দেয়। শফিকুল হক মিলন বলেন, কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে আমরা বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছি। এখন আর এসব প্রোগ্রামে থাকা হচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর