বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সাবেক সভাপতি এম এ ওয়াদুদ খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণ ব্যবসা নীতি অনুসরণ করে আমাদের নতুন সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে অচিরেই স্বর্ণশিল্প বিশ্ববাজারে প্রবেশ করবে। গতকাল বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় অবস্থিত গ্রান্ড হল রেস্টুরেন্টে বাজুস নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত নতুন সদস্য বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এম এ ওয়াদুদ খান আরও বলেন, স্বর্ণশিল্পে গত ২৬ বছরে যা হয়নি তা মাত্র ৬ মাসে সম্ভব হয়েছে সায়েম সোবহান আনভীরের জন্য। তার ব্যবসা পরিচালনার বিশেষ দক্ষতা ও দূরদৃষ্টি আমাদের আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রধান অতিথি নারায়ণগঞ্জে স্বর্ণের ব্যবসা সম্পর্কে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে ভালো জুয়েলারি অলঙ্কার বিক্রি হয়। এখানে যারা খারাপ মাল বিক্রি করে তারা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। জুয়েলারির মান উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। আমরা এমন এক ব্যবসায় আছি যা এ দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে।’ তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা স্বর্ণ মেমোর মাধ্যমে নেবেন এবং এনআইডি রাখবেন। তারপরও পুলিশ হয়রানি করতে এলে আমরা দেখব। আপনারা সৎভাবে ব্যবসায় করবেন, নতুন সভাপতি আপনাদের পাশে থাকবেন। মনে রাখবেন, যে দোকানে বাজুসের লোগো নেই সেখান থেকে কেউ জুয়েলারি কিনলে প্রতারিত হতে পারেন।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা বাজুসের চেয়ে কম দামে বিক্রি করে। কম দামে খারাপ মানের পণ্য পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা ভালো মান ধরে রাখতে চাই।’ সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান এনামুল হক খান বলেন, আগামীতে বাজুসের নিবন্ধন ছাড়া কেউ বৈধভাবে স্বর্ণ ব্যবসা করতে পারবেন না। আমরা সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে জুয়েলারি শিল্পের ইতিহাস বদলে দিতে চাই। আমাদের নতুন নেতৃত্ব দেশের আইকন সায়েম সোবহান আনভীর জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের জন্য ‘গোল্ড ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন। তরল সোনা রিফাইন করে বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা করছেন। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চেয়ারম্যান গুলজার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সভাপতির মূল লক্ষ্য সৎভাবে ব্যবসা করা। যেন কোনো গ্রাহক আমাদের থেকে প্রতারিত না হয়। গ্রাহক সন্তুষ্টির মাধ্যমে আমরা আরও অনেক দূর এগিয়ে যাব।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক হানিফ উদ্দিন সেলিম, স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হাসান খান, ফারুক আহমেদ, আমীর হোসেন খান, অভিজিৎ রায়, গোলাম মোহাম্মদ খোকা, লিটন খন্দকার, নজরুল ইসলাম রোমান, আসাদুজ্জামান।
অনুষ্ঠান শেষে বাজুসের সভাপতির পক্ষে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটির রুহুল আমিন রাসেল। এ ছাড়া পরে বাজুসের নারায়ণগঞ্জের ২২০ জন নতুন সদস্যকে বরণ করে নেওয়া হয়। তাদের সবাইকে সদস্যপত্র, বাজুস সার্টিফিকেট, ফুল, আইডি কার্ড তুলে দেন অতিথিরা।
