বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের ৪৪ দশমিক ১৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। আগামী বছর অক্টোবরে থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করা যাবে। গতকাল থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী জানান, থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তিনটি টার্মিনাল দিয়ে বছরে ২২ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দিতে পারবে। বিদ্যমান অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা দূর হওয়ায় তখন যাত্রীরা বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের সেবা পাবেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে উন্নয়নকাজ চলছে।
মাহবুব আলী বলেন, ‘বিমানবন্দরে যাত্রীরা যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হন তা আমরা খেয়াল রাখছি। মনিটরিং বৃদ্ধি করায় লাগেজ ডেলিভারিতেও আগের থেকে সময় কম লাগছে। যেখানে প্রয়োজন সেখানেই অতিরিক্ত জনবল দেওয়া হয়েছে। আশা করছি যাত্রীরা সুন্দর ব্যবহার পাবেন। যখন দেখব সব ঠিকঠাক হচ্ছে তখন বুঝব আমাদের কর্মকান্ড সার্থক। পৃথিবীর বিভিন্ন এয়ারপোর্টে যে সেবা দেওয়া হয়, সে ধরনের আন্তর্জাতিক সেবা আমরা নিশ্চিত করব।’
থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করার কথা ভাবছি। সব নিয়ম ও শর্ত পূরণ করে যারা যোগ্য বিবেচিত হবেন তারাই এ টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাবেন। যাত্রীদের উন্নত সেবা দিতে করণীয় সবকিছু করা হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘থার্ড টার্মিনালের কাজের মান নিয়ে কোনো ধরনের আপস করা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। দরপত্রে উল্লিখিত মানের পণ্যই এ প্রকল্পের কাজে সরবরাহ নেওয়া হবে, অন্য কোনো কিছু গ্রহণ করা হবে না। রাষ্ট্রের বা জনগণের এক পয়সা ক্ষতি হয় এ রকম কোনো কিছু এখানে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’
থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শনকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুকেশ কুমার সরকার, মহিদুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল মালেক, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
