সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিভাগীয় সমাবেশ বাস্তবায়নে ১৪ উপকমিটি গঠন খুলনা বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ দিতে চায় বিএনপি। এ কারণে কর্মসূচি বাস্তবায়নে তৃণমূলে নড়েচড়ে বসেছে খুলনা বিএনপি। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ১০ দফা দাবিতে বৃহৎ পরিসরে বিভাগীয় সমাবেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে নানা কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে দলটি। সমাবেশ সফল করতে ১৪টি উপকমিটি গঠন, সোনালী ব্যাংক চত্বর কিংবা শহীদ হাদিস পার্কে বৃহৎ পরিসরে কর্মসূচি ও সমাবেশ সফল করতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি সভায় উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। জানা যায়, এর আগে একই দাবিতে ১১ জানুয়ারি খুলনা ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণঅবস্থান কর্মসূচি আহ্বান করে বিএনপি। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সীমিত পরিসরে কর্মসূচি পালন করে তারা। কোণঠাসা অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে এবার বৃহৎ পরিসরে কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন নেতা-কর্মীরা। বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলেন, ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ পালন করে বিএনপি।

এর পর থেকেই তৃণমূলে উজ্জীবিত হন নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণও বাড়তে থাকে। ফলে কর্মসূচিতে রাজপথ দখলে রাখতে আবারও বৃহৎ পরিসরে কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।

কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি সমাবেশের অনুমতি চেয়ে সিটি করপোরেশনের কাছে আবেদন করা হচ্ছে। সমাবেশ সফল করতে ১৪টি উপকমিটি গঠনসহ বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা, পাড়া-মহল্লায় লিফলেট বিতরণ শুরু হয়েছে।

এদিকে গতকাল দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ সফলে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, বাধা-বিপত্তি হুমকি মোকাবিলা করেই ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফল করা হবে। সরকার বিএনপির আন্দোলন প্রতিহত করতে নাশকতার মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার হয়রানি করছে। সভায় এ ধরনের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়।

জানা যায়, ২৫ জানুয়ারি নাশকতার মামলায় মহানগর ও জেলা বিএনপির দুই সদস্যসচিবসহ ৬৬ নেতা-কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। এর আগে মহানগরীর ৮টি থানায় ৮টি গায়েবি মামলা করে পুলিশ। একইভাবে জেলার ৫টি থানায় ৫টি গায়েবি মামলা করা হয়। এসব মিথ্যা মামলায় অসংখ্য নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর