বলরাম কর্মকার (৬৫)। ছেলে ও স্ত্রীর চিকিৎসায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ভিটেমাটি বিক্রি করে ঋণের টাকা পরিশোধ করেন। পরিণত হন ভূমিহীনে। সর্বস্ব হারিয়ে হতাশ এই মানুষটি ভারত চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের একটি ঘর পাইয়ে দেন। এই ঘরে তার শেষ বয়সে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। এই ঘরের সঙ্গে পেয়েছেন ২ শতাংশ জমি। এই জমির এক কোণে কামারশালা স্থাপন করেছেন। এখানে দা, কাঁচি, বঁটি তৈরিসহ লোহার কাজ করে অর্থ উপার্জন করেন। সেই সঙ্গে ছাগল ও হাঁস-মুরগি পালন করছেন। আশ্রয়ণের আঙিনায় লাউ, বেগুন, ডাঁটাসহ সবজির আবাদ করেন। পঙ্গু ছেলে জয়দেব কর্মকারকে নিয়ে তার সংসার ভালোই চলছে। বলরাম কর্মকার গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের ঊনশিয়া গ্রামের মনোরঞ্জন কর্মকারের ছেলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উন্নয়ন প্রতিনিধি ও অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, দেশে কোনো মানুষই ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না বলে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে আমরা কোটালীপাড়া উপজেলায় ২৩৫টি ঘর বিতরণ করেছি। আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে যুক্ত হয়ে আরও ১২৯টি ঘর হস্তান্তর করবেন। এর মধ্য দিয়ে কোটালীপাড়া ভূমিহীনমুক্ত উপজেলা হবে।