কয়েকটি মেলা ঘিরে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা জমজমাট অবস্থায়। সেখানে চলছে ষষ্ঠ ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০২৩, ষষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল হেলথ ট্যুরিজম অ্যান্ড সার্ভিসেস এক্সপো বাংলাদেশ-২০২৩ ও ১৪তম মেডিটেক্স বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০২৩। তিন দিনব্যাপী এ এক্সপো শেষ হবে আজ। এর সঙ্গে চলছে নবম ফার্মা বাংলাদেশ-২০২৩ এক্সপো, সপ্তম বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল ল্যাব এক্সপো-২০২৩ এবং তৃতীয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং এক্সপো-২০২৩। গতকাল ছুটির দিনে প্রদর্শনী উপলক্ষে জমজমাট ছিল পুরো এলাকা। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন এ এক্সপোয়। এ ছাড়া এসব খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এজেন্ট, পরিবেশক, আমদানিকারক, ট্রেডিং কোম্পানি, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা, হোটেল ব্যবসায়ী, ব্যবসায়িক প্রতিনিধি, রেস্তোরাঁসহ সারা বিশ্ব থেকে গ্রাহক এবং অন্য ক্রেতারা অংশ নিয়েছেন। মেডিটেক্স, হেলথ ট্যুরিজম এবং ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো এক্সপো এ শিল্পের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য এটি ওয়ানস্টপ প্লাটফরম। অত্যাধুনিক মেডিকেল সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি, স্বাস্থ্য পর্যটন খাতের উন্নত প্রযুক্তি, খাদ্য, কৃষি ও প্লাস্টিক শিল্পের অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, উন্নত প্রযুক্তি, পণ্য এবং সেবার বড় সুযোগ নিয়ে হাজির হয়েছে দর্শনার্থীদের সামনে। এ ধরনের আয়োজন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি শিল্পায়ন ত্বরান্বিত করতে, রপ্তানি আয় বাড়াতে এবং বৈদেশিক রিজার্ভ অর্জনের নতুন সুযোগ প্রদান এবং দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। মেডিটেক্স বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, হেলথ ট্যুরিজম অ্যান্ড সার্ভিসেস এক্সপো বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা শিল্পের জন্য অপরিহার্য।
এটি হাসপাতাল, ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টর এবং অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর স্বাস্থ্যসেবা, হাসপাতাল পরিষেবা, হেলথ ট্যুরিজম সার্ভিস এবং কনসালটেশন সার্ভিস প্রদর্শনের সুযোগ তৈরি করে থাকে। এটি বিজনেস টু বিজনেসের চমৎকার একটি প্ল্যাটফরম হিসেবে কাজ করছে। প্রদর্শনীতে ৪৫০টির বেশি বুথসহ ২৩০টিরও বেশি কোম্পানি ১০টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে।