গত বছরের ১৪ নভেম্বর রংপুর অঞ্চলের মানুষের বহুল প্রতীক্ষিত পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনলাইনে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর পীরগঞ্জের নিয়ামতপুর চৌরাহাট এলাকায় গ্যাস স্টেশন প্রাঙ্গণে ফলক উন্মোচন ও গ্যাস প্রজ্বালন করেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার। প্রধানমন্ত্রীর গ্যাস সরবরাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সাড়ে তিন মাসেও মিটারিং স্টেশনের কাজ এখনো শুরু হয়নি। ফলে আটকে আছে গ্যাস সরবরাহের কাজ। কবে নাগাদ মিটার স্টেশনের কাজ শুরু হবে তা বলতে পারছেন না কেউ। রংপুর, পীরগঞ্জ ও সৈয়দপুরে মিটার স্টেশন করা হবে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিটার স্টেশনের মালামাল আসছে। খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে। তবে একটি সূত্র বলছে, মিটার স্টেশনের কাজ শেষ হলেও এ অঞ্চলে গ্যাস প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ‘বগুড়া-রংপুর- সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ১৫০ কিলোমিটার এলাকার পাইপলাইন স্থাপন করেছে জিটিসিএল। রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পটি সরকারি ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ অর্থায়নে ১ হাজার ৩৭৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এর মধ্যে জিটিসিএল এখানে ১০ কোটি টাকার ওপর খরচ করেছে। বাদবাকি টাকা সরকার বরাদ্দ দিয়েছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের জন্য ৩০৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া হুকুম দখল করা হয়েছে ৫৭৬ দশমিক ৩৭ একর জমি। ৩০ ইঞ্চি ব্যাসার্ধে ১৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। এ গ্যাস সরবরাহে পাইপলাইন পাড়ি দিয়েছে ছয়টি নদী ও দুটি খাল। এসব নদী ও খালের দূূরত্ব আড়াই কিলোমিটার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রংপুর বিভাগে গ্যাস পাইপলাইন সরবরাহ উদ্বোধন হওয়ায় ব্যবসায়ী শিল্পপতিরা আনন্দিত হয়েছিলেন।