রাজশাহী ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) সোহেল রানা ডনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর বর্ণালী মোড়ের একটি কোচিং সেন্টার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে করা একটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি সোহেল রানা ডন। মামলায় তার স্ত্রীকেও আসামি করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে অর্থলগ্নি করার অভিযোগ করা হয় এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।
সোহেল রানা ডনের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলায়। একসময় তিনি রাজশাহীর সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের বড় মেয়ে আনিকা ফারিহা জামান অর্ণাকে প্রাইভেট পড়াতেন। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী ওয়াসায় চাকরি পান।
তিনি চাকরিতে ঢোকার আগে থেকেই কোচিং ব্যবসায় জড়িত। তার বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকারও অভিযোগ আছে। এ অভিযোগে ২০১৬ সালের অক্টোবরে সোহেল রানা ডনসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি পুলিশ। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ও ল্যাপটপে সে সময় বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন পাঠানোর আলামত মেলে। তারপর কিছুদিন জেল খেটে বের হন সোহেল রানা ডন। প্রশ্নফাঁসে গ্রেপ্তার হলেও তার চাকরিও যায়নি। প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদ থাকায় পার পেয়ে যান তিনি।
আরএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন ডনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ডন একটি মামলার এজাহারভুক্ত চার নম্বর আসামি। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।’