সংবাদ সম্মেলন করে বিএসআরইএ দাবি করেছে, দেশের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশি ও দেশি বিনিয়োগকারীরা ক্রমেই আস্থা হারাচ্ছেন। সরকার এর মধ্যে ৫৫টি নতুন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করলেও এসব প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ আশানুরূপ নয়। কিছু দরপত্রে মাত্র একজন দরদাতা অংশ নিয়েছেন, আর কিছু দরপত্রে কেউই আগ্রহ দেখাননি। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক ৩৭টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন বাংলাদেশ টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমিতির (বিএসআরইএ) সভাপতি মোস্তফা আল মাহমুদ। সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার রোজেল, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহিদুল আলম, আবু তাহের, শেখ মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর নিতাই পদ সাহা প্রমুখ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখানে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। আর দেশীয় বিনিয়োগকারীরাও এখানে কম আসছেন। যখনই কোনো বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করতে আসেন তখন তার বিনিয়োগের গ্যারান্টি লাগবে। আগের আইনে বিনিয়োগের গ্যারান্টি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। এজন্য বিনিয়োগকারীরা এ খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের তৈরি করা নীতিমালা হঠাৎ বদলে গেলে বিদেশি ও দেশি বিনিয়োগকারীরা এ খাতে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ হারাবেন। এ ক্ষেত্রে আমরা স্থিতিশীল নীতিমালা চাই। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যে বিনিয়োগ করেছেন, তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সৌর বিদ্যুতের বাতিল করা প্রকল্পগুলো পুনর্বিবেচনা করার জন্য দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য জ¦ালানি খাতের প্রসার এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এত দ্রুত হয়েছে এর সঙ্গে আমরা তাল মেলাতে পারছি না। এখন সৌর বিদ্যুতের দাম অনেক কম। দেশের বেশির ভাগ টেক্সটাইল কারখানাগুলোতে তারা নিজেদের প্রয়োজনেই আগ্রহ নিয়ে সোলার প্যানেল লাগাচ্ছে। এ-সংক্রান্ত নীতিমালা ঠিকমতো তৈরি হলে গ্রাহকরা নিজেদের বাসাবাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল লাগাবেন। সে ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির নীতিমালা-২০২৫ প্রকাশ দেশের নবায়নযোগ্য খাতের জন্য ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। বিশেষভাবে সব সরকারি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে বিদ্যুৎ খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তর ঘটবে।