চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে থাইরয়েড ক্যানসারের চিকিৎসায় কোনো অন্তঃবিভাগ নেই। তবে হাসপাতালের চতুর্থ তলার ২৯ নম্বর কেবিন ব্লকে একটি রুমে একটি শয্যা নির্দিষ্ট করে রাখা আছে। কিন্তু এখানে চিকিৎসা নেওয়ার ঘটনা খুবই কম। ফলে চট্টগ্রামের থাইরয়েড রোগীদের এই একটি শয্যার ওপরই নির্ভর করতে হয়। চমেক হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগে থাইরয়েড রোগ শনাক্ত হওয়ার পর অপারেশন বা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে রোগীদের হাসপাতালসংলগ্ন চট্টগ্রাম ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সাইন্সেসে রেফার করা হয়। কার্যত শনাক্ত পরবর্তীতে এখানেই থাইরয়েডের নিয়মিত চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এই ইনস্টিটিউট থেকে প্রতি মাসে ২০-২৫ জন থাইরয়েড ক্যানসারের চিকিৎসা গ্রহণ করেন। কিন্তু একটি রুমে ভর্তি করে রেডিওআয়োডিন থেরাপি দেওয়া হয়।
আগস্ট থেকে গত রবিবার পর্যন্ত এই রুমে দুজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভর্তির পর একজন রোগীকে থাকতে হয় পাঁচ দিন। গত রবিবার দেখা যায়, সেখানে একজন ভর্তি আছেন। তবে রুমের ভিতর থেকেই দরজা বন্ধ করা। স্বজনরা সময়মতো এসে খাবার ও ওষুধ দিয়ে যান।
ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সাইন্সেসের পরিচালক অধ্যাপক ডা. পবিত্র কুমার ভট্টাচার্য বলেন, এখানে ভর্তি করে চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে চমেক হাসপাতালের কেবিন ব্লকে একটি রুমে একটি শয্যা আছে। সেখানে রেডিওআয়োডিন থেরাপি দেওয়া হয়। তা ছাড়া, বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতালেও পাঁচ দিন ভর্তি থেকে রেডিওআয়োডিন ক্যাপসুলটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেলে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ থাইরয়েড ক্যানসার রোগী সুস্থ হয়। চ্যালেঞ্জটা হলো- প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে পারা।