তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার পর লাশ গুম করার চেষ্টায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুজনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহা. রকিবুল ইসলাম এ রায় দেন। দণ্ডিতরা হলো- বরিশালের হিজলা উপজেলার পূর্ব কোড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইস্রাফিল আকনের ছেলে কবির আকন ও একই গ্রামের মোসলেম বেপারীর ছেলে আ. জব্বার বেপারী। মামলার বরাতে জানা যায়, মামা বাড়ি বেড়িয়ে ২০১৩ সালে তরুণী খাদিজা বেগম একা বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। এর পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরদিন পূর্ব কোড়ালিয়া গ্রামের হামিদ হাওলাদারের বাগানের পাশে শিলনিয়া খালের মধ্যে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে একটি গাছের সঙ্গে বাঁধা ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তরুণীর মামা মোক্তার হোসেন ৩০ জুলাই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হিজলা থানায় মামলা করেন। বরিশাল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই নুরুল ইসলাম ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন।
চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, বাড়ির উদ্দেশে যাওয়ার সময় তরুণীকে কবির আকন টেনেহিঁচড়ে হামিদ হাওলাদারের ঘন বাগানের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে অপর আসামি জব্বার এসে তরুণীকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার ভয়ে তরুণীকে হত্যা করে তার লাশ বাগানের পাশে শিলনিয়া খালের মধ্যে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরদিন লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। তরুণীর ভাই ও মা শনাক্ত করেন। বেঞ্চসহকারী আজিবর রহমান বলেন, মামলার ১৮ জনের সাক্ষ্য নিয়ে ঘটনার এক যুগ পর রায় দেওয়া হয়েছে।