গুণগত পরিবর্তনের জন্য ভবিষ্যতে আরেকটা গণ অভ্যুত্থান হলেও হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তার দাবি, ওই গণ অভ্যুত্থানের পর বয়স্ক উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের প্রয়োজন পড়বে না। তখন সেফ এক্সিট খুঁজতে হবে এখনকার কতিপয় নেতৃত্বকে, যারা প্রতিনিয়ত ভুল করছে। গতকাল নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন রাশেদ খান। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না বয়স্ক উপদেষ্টারা দুর্নীতি করেছে। এমন তথ্যও শোনা যায় না। মূলত তাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় অনভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক জ্ঞান না থাকার কারণে গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের পার্ট হয়েও তারা কিছু করতে পারেনি। তাদের গণ অভ্যুত্থানেও কোনো ভূমিকা নাই, হাসিনার বিরুদ্ধেও কখনো রাজপথে নামেনি। এই বয়স্ক মানুষগুলোকে প্রলোভন দেখিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা বানিয়ে ছাত্রনেতারা ভুল করেছেন বলেও মন্তব্য করেন রাশেদ খান।
তিনি বলেন, ‘গণ অভ্যুত্থানের পরে অদক্ষ লোককে সরকারের উপদেষ্টা বানানোর পুরোপুরি দায় কতিপয় ছাত্র নেতৃত্বের। তাদের ভুল সিলেকশনে এত বড় গণ অভ্যুত্থানের পরেও রাষ্ট্রের কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেটা ছাত্র নেতৃত্বরা ইদানীং স্বীকার করছে যে, তাদের ওপর বিশ্বাস করে ভুল করেছে। এই ভুলের খেসারত পুরো জাতিকে দিতে হচ্ছে।’
আরেকটি গণ অভ্যুত্থানের আভাস দিয়ে রাশেদ খান বলেন, ‘রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তনের জন্য ভবিষ্যতে আরেকটা গণ অভ্যুত্থান হলেও হতে পারে। সেই গণ অভ্যুত্থানের পরে সবচেয়ে বেশি খেসারত দেওয়া লাগতে পারে তাদের, যাদের ভুলের কারণে ২৪ এর গণ অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে।’
সে সময় বয়স্ক উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের প্রয়োজন পড়বে না। প্রাকৃতিক নিয়মেই তখন তারা আর পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে না। তখন সেফ এক্সিট খুঁজতে হবে এখনকার কতিপয় নেতৃত্বকে, যারা প্রতিনিয়ত ভুল করছে, ফেসবুক পোস্টে যুক্ত করেন রাশেদ খান।
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা আরও বলেন, ‘তবে কারোরই সেফ এক্সিট লাগবে না, যদি আগামী পাঁচ মাস কোনো ভুল না করে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সঠিক সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা গণতান্ত্রিক পথে অগ্রসর হতে পারি।’