জিডিপিতে খুলনা বিভাগের অবদান অন্তত এক-চতুর্থাংশ। তবু এই বিভাগ নানা সংকটের শিকার। ১০ জেলা, ৫৯ উপজেলা ও ৫৬৮ ইউনিয়নের খুলনা বিভাগের গুরুত্ব দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু বৈষম্য, অবহেলা ও অমনোযোগিতার মুখোমুখি হচ্ছে বিভাগটি।
ঢাকায় কর্মরত খুলনা বিভাগের সাংবাদিকদের সংগঠন-খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার আয়োজনে ‘খুলনা বিভাগের সংকট ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব সমস্যার কথা তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারীরা।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে খুলনা অঞ্চলের উন্নয়ন, বিনিয়োগ, পরিবেশ, শিল্প-বাণিজ্য, অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে সাংবাদিক, বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও নীতিনির্ধারকরা অংশ নেন। খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমাদ রাসেলের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক সচিব ও সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ায় দুর্যোগ লেগেই থাকে। উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য স্থায়ী বেড়িবাঁধ দরকার। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মুহূর্তেই হাজার হাজার বিঘা জমির মালিক ফকির হয়ে যায়।
তারা খুলনা বিভাগে গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন, উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন, সুন্দরবন সুরক্ষা ও উন্নয়ন পেশাজীবী ও মেধা লালন নিয়েও আলোকপাত করেন। এ সময় খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের উপদেষ্টা ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত, খুলনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম, যশোর এমএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান, জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা আমির ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা তাজউদ্দীন খান, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী নাজমুল হুদা, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মোহাম্মদ আবদুস সবুর, সাংবাদিক হারুন জামিল, মোরসালিন নোমানী, সিরাজুল ইসলাম, খালিদ সাইফুল্লাহ এবং আশীষ কুমার দে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।