প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ডাইনামিক গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি নাজমুল হাসান। তিনি বর্তমানে নিজ বাসায় আইসোলেশনে থাকলেও দেশে করোনার সেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল টোয়েন্টিফোর’- এর এক লাইভ অনুষ্ঠানে তিনি অভিযোগ করে বলেন, খুব দুঃখ ও আক্ষেপের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ৭২ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেউ যোগাযোগ করেননি। একজন করোনা আক্রান্ত রোগী হয়ে আমি প্রপার আইসোলেশনে আছি না কিনা তাও দেখার কেউ নেই। এতে খুবই অস্বস্তি বোধ করেছি।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত নাজমুল হাসান আরও বলেন, নিউজে দেখলাম দেশে ১৫শ’ এর বেশি করোনায় আক্রান্ত। তাদের অনেকেরই বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার ব্যবস্থা নেই। এদের মধ্যে নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও অভাবী পরিবারের লোকও রয়েছে। যারা এক রুম ও দুই রুমে পুরো পরিবার নিয়ে থাকে। আমি মনে করি এই রকম আরও অনেকের খোঁজ-খবর কেউ নেয়নি। এতে আমরা শঙ্কিত যে করোনা দেশে অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। এখন দেশে ১৭ কোটি মানুষের ১৫শ’র বেশি করোনায় আক্রান্ত। কিন্তু আক্রান্ত বেড়ে লাখ ছাড়ালে তা মোকাবেলায় কি ব্যবস্থা আছে। সেটা নিয়েও আমি শঙ্কিত।
বর্তমান বিশ্বে করোনা সংকটের যে চিত্র সে থেকে আমার আবেদন, দেশে করোনা টেস্টিং ব্যবস্থাটা আরও বেশি বাড়ানো দরকার। কেননা অনেকেই আক্রান্ত থাকতে পারে যাদের উপসর্গ থাকে না। এতে টেস্টিং ব্যবস্থাটা বাড়ালে দেশের প্রকৃত চিত্র উঠে আসবে। দেখা যাচ্ছে যত টেস্ট বাড়ছে তত আক্রান্তের সংখ্যাটাও বাড়ছে। অতএব টেস্টের পরিমাণ বাড়াতে হবে। জানা গেছে, ডাইনামিক গ্রুপ অব কোম্পানির এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক গত ১৩ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে করোনার টেস্ট করান। যার রিপোর্ট পান ১৪ তারিখ বিকালে। এরপর থেকে তিনি নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।
এদিকে, এ অবস্থায় তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত যে তারাও আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। এখন পর্যন্ত কেউ তাদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে ও খবর নিতে আসেনি। নাজমুল হাসান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ব্যবস্থাপনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, সেখানে টিকিট কেটে টেস্ট করাতে গিয়ে লাইন থেকেই ফিরে আসতে চেয়েছিলাম। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে মনে হয়েছে ওখানে টেস্ট করানোর লাইন থেকেই করোনা ছড়াবে।
সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টিফোর।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক