জিনের মারপ্যাঁচেই করোনা-সংক্রমণে কারও ঠাঁই হচ্ছে আইসিইউ-তে। আবার কেউ স্রেফ বাড়িতে থেকেই সেরে উঠছেন। এডিনবরা ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় উঠে এল এমনই তথ্য। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘ন্যাচার’ পত্রিকায়।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ২০৮টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি ২ হাজার ৭০০ জন গুরুতর অসুস্থ করোনা-রোগীর ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখেছেন, পাঁচটি জিনের গড়বড়েই সংক্রমণে জটিলতা। কারণ ওই পাঁচটি জিন মূলত দেহের ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা (অ্যান্টিভাইরাল ইমিউনিটি) বৃদ্ধি করে এবং ফুসফুসে প্রদাহ রুখতে সাহায্য করে। জিনগুলো হল— আইএফএনএআর২, টিওয়াইকে২, ওএএস১, ডিপিপি৯ এবং সিসিআর২।
এডিনবরার ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিনের পরামর্শদাতা তথা গবেষক কেনেথ বেলি বলেন, “আমাদের এই গবেষণা কোনও ওষুধের কার্যকারিতা বুঝতে সাহায্য করবে।”
অর্থাৎ কোনও সম্ভাব্য ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পরীক্ষা করে দেখা হবে, ওই জিনগুলোর ওপরে ওষুধের প্রভাব কতটা জোরদার। আবার বাজারে থাকা প্রদাহজনিত রোগের কোনও ওষুধ করোনার চিকিৎসায় ভাল কাজ দিতে পারে কি না, সেটাও এই জিনগুলো জানিয়ে দেবে।
যেমন বেশ কিছু অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরি ওষুধ (আরথ্রাইটিসের ওষুধ ব্যারিসাইটিনিব) করোনার চিকিৎসার ভাল কাজ দিতে পারে বলে দাবি কেনেথের। তার নেতৃত্বাধীন গবেষক দলটি আরও জানিয়েছে, চিহ্নিত পাঁচটি জিনের মধ্যে আইএফএনএআর২-র কার্যকারিতা বাড়ানো গেলে, করোনা সংক্রমণ রুখে দেওয়া অনেকটাই সহজ হবে। করোনা প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে কয়েকশ’ গবেষণা চলছে। এডিনবরার রিপোর্টে গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/কালাম