করোনায় মায়ের মৃত্যুর এক ঘণ্টা পর চলে গেলেন ছেলেও। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তারা হচ্ছেন- কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের হরিশাপুরা গ্রামের সোহেল পাটোয়ারীর স্ত্রী ফারজানা আক্তার (২৭) ও তার নবজাতক সন্তান।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ফারজানা। তিনি ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। ১৭ মে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয় ফারজানাকে। অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে করোনা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করেন। এরই মধ্যে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন তিনি।
সোমবার ভোর ৫টার দিকে আইসিইউ ইউনিটে মারা যান ফারজানা। এর এক ঘণ্টা পরে সকাল ৬টার দিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে মারা যান ফারজানার পুত্র সন্তান।
সোমবার বিকেলে কুমিল্লা মেডিকেলের করোনা ইউনিটের মেডিকেল অফিসার ডা.আসিফ ইকবাল জানান, ফারজানা আক্তার নামের ওই নারী যে পুত্র সন্তান প্রসব করেছিলেন সেটি ছিলো ২৪ সপ্তাহের (প্রায় ৬ মাস)। ওই নবজাতকের ওজন ছিলো মাত্র ৭৫০ গ্রাম। মেডিকেলের ভাষায় এ ধরনের শিশুকে প্রিম্যাচিউর বেবি বলা হয়। এ ধরনের শিশুকে সাধারণত বাঁচানো সম্ভব হয় না।
ডা. আসিফ ইকবাল আরও জানান, করোনায় আক্রান্ত ফারজানা আক্তারের অবস্থা আগ থেকেই মুমূর্ষু ছিলো। যার কারণে আমরা তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা করছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সোমবার ভোর ৫টার দিকে মারা যান তিনি। মায়ের মৃত্যুর এক ঘন্টা পরে সকাল ৬টার দিকে নবজাতক ওয়ার্ডে মারা যায় তার নবজাতক সন্তানটি।
এদিকে সামাজিক সংগঠন 'বিবেক' এর প্রতিষ্ঠাতা ইউসুফ মোল্লা টিপুর তত্ত্বাবধানে মা ও নবজাতক সন্তানের গোসল, কাফন ও জানাজা সম্পন্ন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার