ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-তে হয়ে গেল জিনমিক্স পদ্ধতিতে চিকিৎসা বিষয়ে ‘চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্যে সঠিক ওষুধ ব্যবহারের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক সেমিনার। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে এর আয়োজন করা হয়।
সেমিনারের আয়োজন করে আইইউবি’র স্কুল অব লাইফ সায়েন্সেস (এসএলএস) এবং দ্যা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড হেলথ (আইসিবিএই)। এতে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভেরিয়েন্ট জিনোমিক্স ইনকর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. নাজনীন আজিজ।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন আইইউবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এস এম আল-হুসাইনি, উপাচার্য অধ্যাপক এম. ওমর রহমান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মিলান পাগন এবং সরোপটিমিস্ট ইন্টারন্যাশনাল (এসআই) ক্লাব, ঢাকার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং সম্মানিত সদস্য ড. শামীম মতিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মূল বক্তা ড. আজিজের অ্যাকাডেমিক এবং ক্যারিয়ারের নানা দিক তুলে ধরেন এসএলএস’র ডিন অধ্যাপক রীতা ইউসুফ।
জিনোমিক্স চিকিৎসার গবেষণা, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটের নানা দিক এবং বর্তমানে এই পদ্ধতি কোন পর্যায়ে রয়েছে তার বিস্তারিত ছিল সেমনিারের মূল আলোচ্য বিষয়। প্রতিটি ব্যক্তির জিনোম যেমন আলাদা হয়ে থাকে, তেমনি একেকটি রোগেরও আলাদা ধরণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ওষুধের ব্যবহারেও ভিন্নতা আসতে পারে।
ড. আজিজ বলেন, জিনোমিক্স (ডিএনএ’র একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান) হলো এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা পরিচালনার মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যয় অনেক কমানো সম্ভব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবিত এ আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ড. নাজনীন আজিজ আরও জানান, ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতির চিকিৎসা বেশ ফলপ্রসূ। এমনকি লিউকোমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সারের মত রোগের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি সফল হয়েছে।
জিনমিক্স পদ্ধতি নতুন হলেও চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য কল্যাণে দ্রুতই এর বিস্তার ঘটবে বলে অনুষ্ঠানে আশা প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক এম. ওমর রহমান। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত এক প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। আইইউবি’র সিনিয়র শিক্ষক ও কর্মকর্তা এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী এই শিক্ষামূলক সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর