৭ আগস্ট, ২০২২ ২২:১৮

রূপালী ব্যাংকের ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

রূপালী ব্যাংকের ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা

রাষ্ট্রায়ত্ব রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৭ আগস্ট) দিলকুশাস্থ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে সমাপ্ত বছরের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে ঘোষিত ২ শতাংশ স্টকের পরিবর্তে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।

এজিএমে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কাজী ছানাউল হক। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় শতভাগ অর্জন করেছে রূপালী ব্যাংক। সভায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ২০২১ সালের ব্যবসায়িক সাফল্য, ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারসহ সকলের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, এনবিআর, ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএলসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, পরিচালক, শেয়ারহোল্ডার, গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এমডি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করছে রূপালী ব্যাংক। প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য নেতৃত্বে আমাদের মেগা প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের গর্বের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। ডিসেম্বরের মাঝে মেট্রোরেল এবং বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করা হবে। এক পদ্মা সেতুই আমাদের জিডিপি ২ থেকে ২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করবে। অর্থায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য স্বল্প সুদে বিনা জামানতে ঋণ বিতরণ করছে রূপালী ব্যাংক।

তিনি ব্যাংকের সাফল্যর কথা বলতে গিয়ে বলেন, এ সময় ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা যার প্রবৃদ্ধি ৩৯ শতাংশ ও ঋণের প্রবৃদ্ধি ২৪ শতাংশ। এ সময় ব্যাংক অসামান্য ৫টি নতুন প্রোডাক্ট উদ্ভাবন করেছে। শূন্য সুদে কৃষিঋণ যার শ্লোগান-‘মুজিব বর্ষে শুভ দিন, শূন্য সুদে কৃষি ঋণ’, আমচাষে এগ্রি বিল পারচেজড, পার্বত্য এলাকায় আদা ও হলুদ চাষে ও করোনাকালে দুধ থেকে ঘি বানাতে ঋণ।

তিনি আরও বলেন, আমরা থ্রি টায়ার লেন্ডিং সিস্টেম চালু করছি, যার ফলে খেলাপী ঋণের পরিমাণ কমে আসবে। রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ৫০ শতাংশ এবং রেমিট্যান্সে আমাদের ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়। যার ফলে ব্যাংকগুলোর মাঝে আমাদের অবস্থান ২৬ থেকে ৬ নম্বরে উন্নীত হয়েছে।

সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব মৃত্যুঞ্জয় সাহা। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম লস্কর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ হোসেন, রুখসানা হাসিন, মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি, সোয়ায়েব আহমেদ ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আলী আক্কাস।

ব্যাংকের কোম্পানি সচিব মো. ফয়েজ আলমের সঞ্চালনায় ব্যাংকের ডিএমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মো. শওকত আলী খান ও খান ইকবাল হোসেন এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এজিএমে অংশ নেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর