শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

শিশু হত্যা মামলার আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক, শুনানি হয়নি

সাত দিনের মধ্যে মেডিকেল রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চাঞ্চল্যকর চার শিশু হত্যা মামলার আসামি রুবেল অপ্রাপ্তবয়স্ক দাবি করায় অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। গতকাল দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালদার আগামী সাত দিনের মধ্যে রুবেলের সঠিক বয়স কত তা নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি কারাগারে থাকা ৫ আসামির জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে। আগামী ২৮ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ নিয়ে বার বার সময় ক্ষেপণ হলেও গতকাল অভিযোগপত্র গ্রহণ হবে বলে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু আসামি পক্ষ সময় ক্ষেপণের কৌশল গ্রহণ করায় মামলাটির এখনো বিচারকাজ শুরু করা যাচ্ছে না। অথচ সিলেটের আলোচিত রাজন হত্যা মামলাটির দ্রুতবিচার হয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম জানান, যদি কোনো আসামি শিশু হয় তাহলে তা শিশু আদালতে বিচার হওয়ার বিধান। তাই আসামি রুবেল নিজেকে শিশু দাবি করায় তা নির্ধারণের জন্য আদালত মেডিকেল রিপোর্ট-এর আদেশ দেয়। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন জানান, বিভিন্ন কারণে মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে। আসামিরা কৌশলে এই বিলম্ব ঘটাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার পুত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাতো ভাই আবদুল আজিজের পুত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার পুত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আবদুল কাদিরের পুত্র ইসমাঈল হোসেন (১০) নিখোঁজ হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দিনমজুর কাজল মিয়া প্রতিদিনের ন্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে করাঙ্গী নদীর পাশে মাটি কাটতে গিয়ে মাটিচাপা অবস্থায় ৪ শিশুর লাশ দেখতে পান। পরে লাশগুলো উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত শেষে ওই দিন রাতে দাফন করা হয়। এ ব্যাপারে দায়ের করা মামলায় ৫ আসামি কারাগারে, ২ জন পলাতক ও ২ জন জামিনে রয়েছেন। অন্যতম আসামি বাচ্চু মিয়া র‌্যাবের সঙ্গে ক্রসফায়ারে মারা গেছেন।

সর্বশেষ খবর