মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলীকে মারধরের ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ। অভিযুক্ত নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবদুর রহিম বাচ্চুকে অপসারণ এবং তাকে ও তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার দাবিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও মাঠে নেমেছেন। পাঁচ দিন চলছে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মানববন্ধন। গতকাল মোরেলগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ শেষে চৌরাস্তা মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার লিয়াকত আলী খান, মোড়েলগঞ্জ পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল হক তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা রবিন দত্ত, মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন, মোকাম্মেল ফকির, গফ্ফার সুবেদার বক্তৃতা করেন। তারা আশরাফ আলীকে মারধরের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাচ্চু এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বাচ্চুকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকিসহ বিজয় দিবসের সরকারি অনুষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধারা বর্জন করবে বলে ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে দলীয় ও চেয়ারম্যান পদ থেকে বাচ্চুকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের কুদঘাটা বাজারে আওয়ামী লীগ অফিসে ডেকে মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলীকে মারপিট করেন। তিনি এখনো মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার পর মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। থানায় মামলা করা হয় চেয়ারম্যান বাচ্চুসহ ১৫ জনকে আসামি করে। পুলিশ জামাল নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বৃহস্পতিবার বাগেরহাট থেকে গ্রেফতার করে। পলাতক রয়েছে প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জন।