শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
আওয়ামী লীগ নেতা আটক

সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক আহত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় সাংবাদিক আলমগীর হোসেন আলমের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। তিনি ওই উপজেলার মানবজমিনের প্রতিনিধি। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তার কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার মুখমণ্ডল আঘাতে মারাত্মক জখম হয়। পুনরায় হামলার ভয়ে শুক্রবার সকালে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোকলেছ ব্যাপারীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ১০ ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন সাংবাদিক আলমগীর হোসেন আলম। এ হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন।

নড়িয়া থানা ও এজাহার সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নড়িয়া উপজেলা সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাদশা শেখ ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোকলেছ ব্যাপারীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের উপক্রম হয়। তখন উপজেলা সদরের বাজারে দুই পক্ষের সমর্থকরা দেশি অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। মহড়ার এক পক্ষের ছবি তোলার অপরাধে সাংবাদিক আলমগীর হোসেন আলমের ওপর হামলা করা হয়।

আওয়ামী লীগ নেতা মোকলেছ ব্যাপারীর নেতৃত্বে ১০-১২ জন ব্যক্তি এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এ সময় সন্ত্রাসীরা আলমগীর হোসেনের একটি মুঠোফোন ও ২৪ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তার মুখমণ্ডলে আঘাতের স্থানে চারটি শেলাই দেওয়া দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিক আলমগীর হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে উপজেলা সদরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। রাত ৯টার দিকে পৌরসভা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোকলেছ ব্যাপারীর নেতৃত্বে তার সমর্থকরা দেশি অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নড়িয়া পূর্ব বাজারে মহড়া দিচ্ছিল। তখন দূর থেকে আমি ছবি তুলছিলাম। ছবি তোলা শেষ করে কার্যালয়ে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে মোকলেছ ব্যাপারীর নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী আমাকে মারধর করে।

নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল ব্যাপারী বলেন, বাদশা শেখ ও মোকলেছ ব্যাপারীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আমরা দুই পক্ষকেই শান্ত থাকতে বলেছিলাম। বৃহস্পতিবার রাতে কিছু লোকজন সাংবাদিক আলমগীর হোসেনের ওপর হামলা চালায়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু এ হামলায় মোকলেছ ব্যাপারী জড়িত নয়।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, নড়িয়ার একজন সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে এমন অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে। ওই হামলার ঘটনায় একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর