শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কুমিল্লার ২৯৫ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই

সহকারী শিক্ষক সংকট ১২ শতাধিক

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লা জেলার ১৭ উপজেলার ২৯৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। স্কুলগুলো চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। সহকারী শিক্ষক নেই ১২০৮ জন। জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ বেশি খালি রয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন এই সংকট বিরাজ করছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, জেলায় দুই হাজার ১০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে ১২ হাজার ৭০৮টি। আদর্শ সদর উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ১০ জন, সহকারী শিক্ষক সংকট ৬১ জন, লাকসাম উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট সাতজন, সহকারী শিক্ষক সংকট ৪৫ জন, দেবিদ্বার উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ২২ জন, সহকারী শিক্ষক সংকট ৪০ জন, মুরাদনগর উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ২৭ জন, সহকারী শিক্ষক সংকট ১২৪ জন, দাউদকান্দি উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ২২ জন, সহকারী শিক্ষক সংকট ১৪৪ জন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ২২ জন, সহকারী শিক্ষক সংকট ১১৪ জন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ১১ জন, সহকারী শিক্ষক সংকট ৫৮ জন, বরুড়া উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ছয়জন, সহকারী শিক্ষক সংকট ৭৭ জন, বুড়িচং উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ৩৭ জন, সহকারী শিক্ষক সংকট ১৪ জন, চান্দিনা উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট সাতজন, সহকারী শিক্ষক সংকট ৭০ জন, হোমনা উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ২১ জন, সহকারী শিক্ষক সংকট ৪২ জন, নাঙ্গলকোট উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ৪০ জন, সহকারী শিক্ষক সংকট ১৫৭ জন, মেঘনা উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ১২ জন, সহকারী শিক্ষক সংকট ২৪ জন, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ২০ জন, সহকারী শিক্ষক সংকট ৯৮ জন, তিতাস উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ১৭ জন, সহকারী শিক্ষক সংকট ৮৯ জন, সদর দক্ষিণ উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট নয়জন, সহকারী শিক্ষক সংকট ১১ জন ও লালমাই উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট পাঁচজন, সহকারী শিক্ষক সংকট ৪০ জন।

এদিকে নাঙ্গলকোটের বান্নাগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদ আছে পাঁচটি। তবে প্রধান শিক্ষক ছাড়া দুজন মাত্র সহকারী শিক্ষক। তার মধ্যে একজন আছেন মেডিকেল ছুটিতে। এখন প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারী শিক্ষক মিলে ১৩৭ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, গত তিন বছর ধরে আমরা শিক্ষক সংকটে রয়েছি। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

নাঙ্গলকোট উপজেলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন মজুমদার বলেন, নাঙ্গলকোটে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার বাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বান্নাগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিরুলী এ কে এম হিরমত আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয়ে দুজন করে শিক্ষক রয়েছেন। ডেপুটেশনে কিছু শিক্ষক এনে বিদ্যালয়গুলোয় পাঠদান করা হচ্ছে।

কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নান বলেন, আমরা সিনিয়র শিক্ষকদের তালিকা করে অধিদফতরে পাঠাব। পদোন্নতি দিলে প্রধান শিক্ষকের সংকট দূর হবে। এদিকে সহকারী শিক্ষকের লিখিত পরীক্ষা হয়েছে। সামনে মৌখিক পরীক্ষা। তাদের নিয়োগ দিলে সহকারী শিক্ষকের সংকটও কমবে।

সর্বশেষ খবর