কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ভর্তিচ্ছুরা অনেকটা জামাই আদর পেয়েছে। পরীক্ষার সবকয়টি কেন্দ্রে ছিলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মাঝে শরবত ও বিশুদ্ধ বোতলজাত খাবার পানি বিতরণ করতে দেখা গেছে। এছাড়া, ব্যাগ, মোবাইলসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল স্কাউট সদস্যরা রেখেছেন।
নগরীর সড়কগুলোতে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পেতে সহায়তা করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সাধারণ মানুষ। ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে থাকা, যাতায়াত ও ভর্তি বিষয়ে জানার জন্য নানা প্রশ্ন করছে ছাত্র-ছাত্রীরা। সঙ্গে সঙ্গে কুমিল্লার স্থানীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা উত্তর প্রদান করছেন। অসুস্থ পরীক্ষার্থীদের স্কাউটস সদস্যরা কোলে তুলে কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। শুধু কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া পরীক্ষার্থীদের বিরক্তির কারণ হয়েছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে আসা ভর্তিচ্ছু মিঠুন বলেন, রাস্তায় জ্যাম না থাকায় যথাসময়ের আগেই পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে উপস্থিত হয়েছেন। সিসিএন শিক্ষা পরিবারের সদস্য মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, প্রায় ৭০ হাজার পানির বোতল বিতরণ করা হয়। হামদর্দ কুমিল্লা জেলা জোনের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম জানান, বিনামূল্যে শরবত বিতরণ করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম পুলিশ লাইনের ভিতর নবনির্মিত ছয়তলা নামের ব্যারাকটি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের থাকার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। তাদের মাঝে কম্বল, মশার কয়েল, খাবার পানিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুলে দিতে দেখা যায় কুমিল্লা জেলা পুলিশের সদস্যদের। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের, বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তিপরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর ১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষার কেন্দ্র করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ভর্তিপরীক্ষার সময় আইন-শৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রক্টরিয়াল বডির পাঁচটি টিম কাজ করছে। র্যাগিংসহ যেকোন অনিয়ম প্রতিরোধে নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে।