বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

হাসপাতালে নববধূর লাশ রেখে পালিয়েছেন স্বামী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে মোছাম্মত সীমা বেগম (১৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়েছে স্বামী মো. আপন মিয়া। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ছয় মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছে।  সীমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু সীমার পরিবারের দাবি, যৌতুক দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহত সীমা বেগম জেলার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের লামার বাড়ির মো. মুসা মিয়ার মেয়ে। এদিকে মেহেদীর রং না মুছতেই সীমার এমন অকাল মৃত্যুতে পরিবারে শোকের মাতম চলছে।

 নিহতের চাচাতো ভাই মো. নেয়ামত উল্লাহ জানান, ৬ মাস আগে আপন মিয়ার সঙ্গে সীমার সামাজিকভাবে বিয়ে হয়েছে। কিন্তু সীমার পরিবার গরিব-অসহায় হওয়ায় চাহিদামতো যৌতুক দিতে পারেনি। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। পরে সীমাকে গত দুই মাস আগে আরও যৌতুকের জন্য আখাউড়ায় বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় আপন মিয়া। কিন্তু সীমার পাঁচ বোন এক ভাই।  মা নেই। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে আলাদা থাকেন। সীমার বড় বোন বিদেশে থাকেন। তিনি যৌতুক দেওয়ার আশ্বাস দিলে সীমাকে গতকাল স্বামী আপন তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ফোন করে আপনের পরিবার জানায়, সীমা আত্মহত্যা করেছে। লাশ সদর হাসপাতালে আছে। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে সীমার শ্বশুরবাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি। সীমার সারা শরীর, গলা, গালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত খুন। আমরা এর বিচার চাই।

সর্বশেষ খবর