শিরোনাম
রবিবার, ১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক

নড়াইল প্রতিনিধি

দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউনিয়নের খড়রিয়া গ্রামের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর করে মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সংঘর্ষ থামাতে কালিয়া থানা পুলিশ ১৭ রাউন্ড শটগানের বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ২০ জনকে আটক করেছে। গত শুক্রবার উপজেলার খড়রিয়া গ্রামের পুল বাজারে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বরখাস্তকৃত পেড়লী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জারজিদ মোল্যা ও ফেরদৌস বিশ্বাস গ্রুপ এবং ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান মোল্যা ও খাজা মিনা গ্রুপের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মো. জারজিদ মোল্যা গ্রুপের জসিম মোল্যার নিকট প্রতিপক্ষ মিনা গ্রুপের রফিকুল মিনার ২০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। শুক্রবার বিকালে ওই পাওনা টাকা চাইতে গেলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে খড়রিয়া গ্রামের পুল বাজারে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন লিটু মোল্যা, ওবায়দুর মীর ও শরিফুল বিশ্বাসসহ অনেকের দোকানে ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে কালিয়া থানার অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করে। এ সময় উল্টো উভয়পক্ষ পুলিশের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৭ রাউন্ড শটগানের বুলেট নিক্ষেপ করে।

উভয় গ্রুপের হামলায় এসআই শফিকুল ইসলাম, এএসআই গোলাম নবী, পুলিশের সদস্য তুহিন বিশ্বাস ও রাসেল মোল্যা এবং পুলিশের বুলেট এবং প্রতিপক্ষের হামলায় উজ্জ্বল মোল্যা (৩০), আসিফ মিনা (২০), রনি মিনা (২২), জীবন মোল্যা (২৫), লিঙ্কন (৩২), হুমায়ুন (৪২) ও জসিম (৩০) সহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে লিঙ্কনসহ আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম বলেন, ‘এলাকার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের বিবদমান দুই গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টাকালে উভয়পক্ষ পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে চারজন পুলিশ আহত হয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ ১৭ রাউন্ড শটগানের গুলি নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর