বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ফেনীতে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ওষুধের দোকান

মুদি দোকান জেনারেল স্টোরেও বিক্রি হচ্ছে

জমির বেগ, ফেনী

জেলায় অন্তত ১৫ হাজার ওষুধের দোকান থাকলেও বৈধ রয়েছে মাত্র ১ হাজার ৮০০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গত ছয় মাসে জেলায় ১৫টি অভিযান পরিচালনা করেছে ঔষধ প্রশাসন। এতে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। ফেনীতে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ওষুধের দোকান। যার যখন ইচ্ছে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে খুলে বসছে ওষুধের দোকান। জেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দোকানিরা ব্যবসার ধরন পাল্টে ও নতুন করে ওষুধের দোকান নিয়ে বসছেন হরহামেশা। তদারকি না থাকায় মুদি দোকান কিংবা জেনারেল স্টোরেও বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ। অভিযোগ রয়েছে, এসব দোকানপাটে মাদকের বিপরীতে হরহামেশা বিক্রি হচ্ছে ঘুমের নেশাজাতীয় ওষুধ কিংবা যৌন উত্তেজক বিভিন্ন প্রকার ট্যাবলেট। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ ওষুধের দোকানে চিকিৎসক বা ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই দিচ্ছে অ্যান্টিব্যায়োটিকসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ। সব দেখেও নীরব রয়েছেন ঔষধ প্রশাসন। কিছু ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও তা মানছে না এসব ওষুধের ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে জেলা শহরসহ প্রতিটি গ্রামের আনাচে-কানাছে ঢুকে পড়েছে ওষুধের দোকান। শহরের প্রায় প্রতিটি পাড়ায় দেখা যায় ৭-৮টি ওষুধের দোকান। যাদের অধিকাংশের নেই কোনো বৈধ লাইসেন্স। জেলায় অন্তত ১৫ হাজার ওষুধের দোকান থাকলেও ঔষধ প্রশাসনের তথ্যমতে, বৈধ রয়েছে মাত্র ১ হাজার ৮০০টি। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা প্রায় প্রতিটি ওষুধের দোকান ফার্মাসিস্ট ছাড়াই চালাচ্ছে। দুর্যোগ কিংবা যে কোনো সময় ওষুধের দোকান খোলা রাখা যায় বলে ও বাড়তি দাম নিয়েও কোনো জবাবদিহিতার ঝামেলা না থাকায় যত্রতত্র এসব ওষুধ দোকান খোলা হচ্ছে বলে জানা যায়। খুচরা ওষুধ বিক্রির জন্য দুই ধরনের লাইসেন্স দেয় অধিদফতর। একটি হলো মডেল ফার্মেসির, আরেকটি মেডিসিন শপের। মডেল ফার্মেসির জন্য প্রয়োজন হয় ৩০০ ফুটের একটি দোকান, পৌরসভার ভিতরে হলে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং বাইরে হলে ১ হাজার ৫০০ টাকা। সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যা ব্যাংকে জমা দিতে হয়। এ ছাড়া ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত ফটোকপি, মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, মালিকের ব্যাংক সচ্ছলতার সনদ, ফার্মেসিতে নিয়োজিত গ্র্যাজুয়েট বা এ গ্রেড ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্রেশন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি, ফার্মাসিস্টের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ফার্মাসিস্টের অঙ্গীকারনামা, দোকান ভাড়ার চুক্তিনামা। মেডিসিন শপের ক্ষেত্রে ১২০ ফুটের দোকান, ফার্মেসিতে নিয়োজিত বি বা সি গ্রেডের ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্রেশন সনদের সত্যায়িত কপি এবং মডেল ফার্মেসির মতোই অন্য সব সনদ দিয়ে শর্ত পূরণ করলেই দেওয়া হয় ড্রাগ লাইসেন্স। ফেনীর ঔষধ প্রশাসন তত্ত্বাবধায়ক প্রিয়াংকা দাশ গুপ্তা বলেন, অভিযান চালাতে তাদের নিজস্ব ক্ষমতা নেই। অভিযান চালাতে হলে জেলা প্রশাসনের সহায়তা নিতে হয়।

সর্বশেষ খবর