রবিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

শুষ্ক মৌসুমেও নদী ভাঙন অব্যাহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

শুষ্ক মৌসুমেও নদী ভাঙন অব্যাহত

শুষ্ক মৌসুমেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীতে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদী ভাঙনে আবাদি জমি, ভিটেমাটি সবই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ফলে ভাঙনের শিকার থেকে বাঁচতে নিরাপদ দূরত্বে ঘর বাঁধছেন পদ্মা পাড়ের মানুষ। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের ধুলাউড়ি ঘাট এলাকা থেকে শিবগঞ্জ উপজেলার তেররশিয়া এলাকা পর্যন্ত মোট সাড়ে ৩ কিলো মিটার এলাকাজুড়ে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে এবং ইতোমধ্যে নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন বহু পরিবার। স্থানীয়দের দাবি, বিগত ১০ বছরের চেয়ে এই বছর নদীতে বেশি পরিমাণ জায়গা জমি বিলীন হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ২ কি. মিটার আবাদি জমি ও ভিটামাটি পদ্মা নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। ফলে অনেকেই ভাঙন আতংকে ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেকেই চরের কদমতলা, কালিনগর, নিশিপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া যাদের সামর্থ্য ভালো রয়েছে তারা শহরমুখী হচ্ছেন। নারায়ণপুরের সাদ্দাম আলী বলেন, তার পৈত্রিক সম্পত্তিগুলো আস্তে আস্তে পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে নিজের কোনো জমি জায়গা না থাকায় অন্যের জমিতে ঘর তোলার জন্য জায়গা দেখে এসেছেন। কিন্তু ওই জমির মালিক তো একেবারের জন্য আর জায়গা ছেড়ে দেবেন না। তাই সেখানে কিছুদিন বসবাসের পর অন্য কোথাও যাওয়ার কথা ভাবছেন তিনি। এদিকে বছরের পর বছর নদী ভাঙনের শিকার হওয়া পদ্মা পাড়ের মানুষজনের একটাই দাবি, সরকার যেন পদ্মা নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে দেন।

এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, নদী ভাঙন রোধে প্রায় সাড়ে ৩০০ জিও টিউব ও ১ হাজার জিও ব্যাগ পদ্মা নদীর পাড়ে ফেলা হয়েছে। তবে স্থায়ী ভাঙন রোধে প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর