বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

কুমিল্লায় মেশিনে ধান রোপণে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লায় মেশিনে ধান রোপণে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

কুমিল্লার তিন উপজেলার প্রায় ৪০০ একর জমিতে এবার ট্রান্সপ্লান্ট রাইস মেশিনের সাহায্যে বোরো ধান রোপণ করা হচ্ছে। গতকাল কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় এ পদ্ধতিতে ধান চাষের উদ্বোধন করা হয়। উপজেলার শোভারামপুর গ্রামের কৃষক ওমর ফারুকের জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে মেশিনের মাধ্যমে ধান চাষের উদ্বোধন করা হয়। সরেজমিন দেখা যায়, ১০ মিনিটেই ১৫ শতাংশ জমির ধান রোপণ হয়ে গেছে। এ সময় গ্রামের শত শত কৃষক ও উৎসুক মানুষ রোপণ পদ্ধতি দেখতে ভিড় করেন। কেউ ছবি তোলেন, কেউ ভিডিও করেন। চলতি বোরো মৌসুমে বুড়িচং উপজেলায় ১৫০ বিঘা জমিতে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হবে। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে খরচ কমবে। সঙ্গে ফলন বাড়বে। এ ছাড়া পরিপক্ব ধান পেতে সময়ও কমে আসবে। এ নিয়ে খুশি স্থানীয় কৃষক। এর আগে শোভারামপুর মাঠে রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধানের সমলয়ে চাষাবাদের ব্লক প্রদর্শনীর উদ্বোধন ও কৃষক সমাবেশ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদা আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপপরিচালক মিজানুর রহমান ও উপজেলা চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার। স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ বানিন রায়। বক্তারা বলেন, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে মাত্র ২৫-৩০ দিনে সঠিক বয়সের চারা রোপণ সম্ভব হয়। এতে ধানের জীবৎকাল ১০-১৫ দিন কমে আসে। তা ছাড়া মেশিনের সাহায্যে সঠিক গভীরতায় চারা রোপণ সম্ভব হয়; যে কারণে প্রতি গুছিতে কুশির সংখ্যা বেশি হয়। সর্বোপরি ফলন ১০-১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। শোভারামপুর গ্রামের কৃষক শাহ আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি এবার ২ বিঘা জমি আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করব। ২ বিঘা জমি রোপণে আমার ন্যূনতম ৮ হাজার টাকা খরচ হতো। এখন মাত্র ২ হাজার ৪০০ টাকা খরচ হবে।’ এতবারপুর গ্রামের কৃষক অহিদ মিয়া বলেন, ‘আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদ নিয়ে আমাদের মধ্যে ভুল ধারণা ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।’ রামপুর গ্রামের কৃষক ওমর ফারুক বলেন, ‘আগে ধান রোপণে অনেক পরিশ্রম হতো। আজ ১০ মিনিটেই আমার ১৫ শতাংশ জমির ধান রোপণ হয়ে গেছে।’

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর