রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

উন্মুক্ত স্থানে ময়লার ভাগাড়

নওগাঁ প্রতিনিধি

উন্মুক্ত স্থানে ময়লার ভাগাড়

নওগাঁর রাণীনগরে বসতবাড়ির পাশে খোলা জায়গায় ফেলা হয় আবর্জনা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নওগাঁর রাণীনগরের শতবর্ষী কালীবাড়ি হাট। এখানে প্রতিদিন আশপাশের কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রি করেন। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকার এসে কৃষিপণ্য কেনেন। এ ছাড়া শত শত ক্রেতা এই হাটে আসেন প্রতিদিনের বাজার করার জন্য। স্থানীয় বাসিন্দা ও হাটের আড়তদার মতিউর রহমান উজ্জ্বল বলেন, এই হাটে সবজি থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, মুরগিসহ যাবতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া যায়। এখানে মুরগি, হাঁস, মাছসহ অন্যান্য উপকরণের উচ্ছিষ্টাংশ ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা নেই। হাটের উত্তর দিকে জনবসতিপূর্ণ খোলা স্থান ময়লার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ময়লা-আবর্জনার পচা দুর্গন্ধ আশপাশের জনবসতি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। এ কারণে এই অঞ্চল দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া দিনের বেলা এই ভাগাড় থেকে কুকুর, বিড়াল, চিল, কাকসহ অন্যান্য পশু ময়লা আশপাশের এলাকায় বয়ে নিয়ে যাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে রোগবালাই। রাতের বেলায় শিয়ালসহ অন্য নিশাচর প্রাণীরা জড়ো হয় ভাগাড় এলাকায়। এসব প্রাণী আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখায় সূর্যের আলো ফুটতেই ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধ। এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। এভাবে চলতে থাকলে এই এলাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করা মুশকিল হয়ে পড়বে- এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। জানা যায়, প্রতি বছর এই হাট থেকে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করে সরকার। হাটের আধুনিকায়নসহ অদূরে একটি নির্দিষ্ট স্থান ময়লা-আবর্জনা রাখার জন্য থাকা উচিত। এ ব্যাপারে ভ্রুক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

দড়িয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিক হাসান বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে আমরা শত শত লোক হাঁপিয়ে উঠেছি। রেলস্টেশনসহ রাণীনগর বাজারে যেতে হলে এই ময়লা-আবর্জনার পাশ দিয়েই যেতে হয়। এ ছাড়া সকালে হাঁটাহাঁটি করতে গেলেও এই পথ ছাড়া যাওয়ার কোনো উপায় নেই। বিকালে শিশুদের পাশে নিয়ে পরিত্যক্ত পাটগুদাম এলাকায় খেলাধুলা করার উপায় থাকে না উন্মুক্ত স্থানে অপরিকল্পিতভাবে রাখা আবর্জনার কারণে। আমরা দ্রুত এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে মুক্তি চাই। খট্টেশ্বর রাণীনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দনা শারমিন বলেন, নিরাপদ দূরত্বে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা রাখার ব্যবস্থা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এভাবে উন্মুক্ত স্থানে ময়লা রাখার কারণে আর কিছুদিন পর আশপাশে কোনো মানুষই বসবাস করতে পারবেন না। পরিষদের পক্ষ থেকে হাটের অনুকূলে ময়লা ফেলার একটি স্থান খোঁজা হচ্ছে। স্থানের ব্যবস্থা হয়ে গেলে এই দুর্ভোগ আর থাকবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হুসেইন বলেন, ওই স্থান পরিদর্শন করে নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা রাখার ব্যবস্থা করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা চিন্তা করে ও পরিবেশের ভারসাম্য যেন রক্ষা হয় এই বিষয় সামনে নিয়ে দ্রুতই ময়লার ভাগাড় উন্মুক্ত স্থান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।

সর্বশেষ খবর