লালমনিরহাটের আদিতমারীতে তিস্তার চরে চলমান বেড়িবাঁধের (বাম তীর সংরক্ষণ) নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম না মেনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) লোকজনকে ম্যানেজ করে যাচ্ছেতাই কাজ করছেন ঠিকাদার। পাউবো নিষেধ করার পরও চলছে অনিয়ম। সরেজমিন দেখা যায়, আদিতমারীর মহিষখোচা ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রায় ছয়টি নদীগর্ভে চলে গেছে। ইউনিয়নের বাকি অংশ রক্ষায় গত বছর ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধের কাজ উদ্বোধন করা হয়। কাজের প্যাকেজের অংশ হিসেবে রংপুরের ঠিকাদার ফরহাদ হোসেন সাত নম্বর প্যাকেজটি পান। স্থানীয় ঠিকাদার নুরে আলম সিদ্দিকি বাবুকে তিনি কাজের দেখভালের দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাবু নানা অজুহাতে অনিয়ম করছেন। এর আগেও তার কাজের অংশে জিওব্যাগ ডাম্পিং না করেই ব্লক লুকানোর অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া বাঁধের কাজের অংশ থেকে মেশিন ও ভেকু লাগিয়ে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে কর্মচারীদের সর্দার এনামুল হক জানান, আপাতত পিচিংয়ের জন্য ব্লক ফেলা হচ্ছে। কাজের মানের বিষয়ে তিনি বলেন, বস্তা ফেলার চেয়েও কাজ শক্ত হয়েছে। অনেক ব্লক ফেলানো হচ্ছে তাই কাজ আরও ভাল হচ্ছে। পরে জিওব্যাগ ফেলা হবে। বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারের প্রতিনিধি নুরে আলম সিদ্দিকি বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেন। পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী রতন সরকার বলেন, জিওব্যাগ না ফেলে কোনোভাবেই ব্লক ফেলার নিয়ম নেই। এতে কাজের মান খারাপ হবে। তিনি ঠিকাদারকে নিষেধ করবেন বলে জানান। লালমনিরহাট পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ টি এম রেজাউর রহমান বলেন, জিওব্যাগ ফেলার পর ব্লক ফেলতে হবে। আগামী বন্যা মোকাবিলায় আমরা সাইডে পিচিংয়ের কাজ করছি, বস্তা ডাম্পিং করছি। বস্তা না ফেলে ব্লক ফেলানোর বিষয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।