রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সবজি চারা উৎপাদনে কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

সবজি চারা উৎপাদনে কৃষক

হাইব্রিড মরিচ গাছের পরিচর্যা করছে এক কৃষক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সারিয়াকান্দির কৃষকদের উঠান এখন মিনি নার্সারিতে পরিণত হয়েছে। অন্য এলাকা থেকে চারা কিনে লোকসানে পড়তেন কৃষকরা। এ কারণে নিজেরাই শুরু করেছেন চারা তৈরির কাজ। বন্যাপরবর্তী সময়ে জমিতে আগাম জাতের বিভিন্ন শীতকালীন সবজি ফলানোর স্বপ্ন এখন এসব কৃষকের।

জানা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দি বাঙালি নদী ও যমুনা নদীতে ঘেরা। এ এলাকার মাটি বেলে দোআঁশ। এখানে মরিচ, ভুট্টা, ধান, পাট ও নানা ধরনের শাক-সবজির আবাদ খুবই ভালো হয়। বিগত বছরগুলোতে কৃষকরা বিভিন্ন এলাকার নার্সারি থেকে মরিচ ও বিভিন্ন সবজি চারা সংগ্রহ করে বারবার প্রতারিত হয়েছেন। তাদের কাক্সিক্ষত ফলন পাননি। তাই দুই বছর ধরে কৃষকরা এখন চারা উৎপাদন করছেন। এতে তাদের খরচও কম হচ্ছে। যমুনাপাড়ের কৃষকদের প্রায় সবারই উঠানে এখন চোখে পড়ে বেডে চারা  তৈরির দৃশ্য। বিভিন্ন জাতের সবজির চারায় ভরে উঠেছে তাদের আঙিনা। বন্যায় তাদের জমি পানিতে ডুবে থাকলেও বসতবাড়ির উঠানে তারা বেড করে  তৈরি করছেন প্রয়োজনীয় চারা। এসব চারা এখন জমিতে রোপণের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে এলেই কৃষকরা এসব চারা জমিতে রোপণ করবেন। সাধারণত কৃষকরা তাদের উঠানে হাইব্রিড জাতের মরিচের চারাই বেশি উৎপাদন করছেন। তবে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ নানা ধরনের সবজির চারাও তারা উৎপাদন করেছেন।

চাষি জিল্লুর রহমান জানান, কাজলা ইউনিয়নের জামথল ঘাটের পাশে ৬০ শতাংশ উঁচু জমি ৮০ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে বেড করে বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড মরিচের বীজ বপন করেছেন তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল হালিম জানান, আমাদের পরামর্শে এখন কৃষকরাই চারা উৎপাদন করছেন। এতে একদিকে তাদের উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে। অপরদিকে কাক্সিক্ষত ফসল ফলিয়ে তারা ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর