দিনাজপুরের হাকিমপুর পৌর এলাকার হিলির প্রধান সড়কে ফোরলেন কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ট্রাক, বাস, অটোচালক ও পথচারীদের। শিক্ষার্থী ও রোগীরা পড়ছেন বেশি বিপাকে। শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালিতে নাকাল হচ্ছেন হাকিমপুরবাসী। বর্ষায় কাঁদা-পানিতে দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন তারা। জনসাধারণের সুবিধার্থে রাস্তায় কোথাও কোথাও ইট বিছিয়ে দিয়েছে সওজ। তবে তা আরও বেশি বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আমানউল্লাহ আমান জানান, ২০২২ সালের এপ্রিলে ওই সড়কে ফোরলেন কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কার্যাদেশ পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাগর বিল্ডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ২০২৪ সালের জুন মাসে এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কাজ সম্পন্ন না করে বন্ধ রাখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণে সাগর বিল্ডার্সের অনুমতি বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, হাকিমপুরের হিলি জিরোপয়েন্ট থেকে স্থলবন্দর গেট পর্যন্ত ফোর লেন কাজ সম্পন্ন হলেও হিলি চারমাথা থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যার কারণে বন্ধ রয়েছে। ওই অংশে সড়কের জায়গা কম থাকায় এখন ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এটা শেষ হলে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে কাজের বাকি অংশ শেষ করা হবে। স্থানীয়রা বলছেন, হিলি থেকে জয়পুরহাট হয়ে ঢাকা যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। ইট বিছিয়ে রাস্তাটি মাঝে মধ্যে দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে সংস্কার করে থাকে। এতে কাঁদা থেকে কিছুটা রক্ষা পেলেও প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ধুলোবালিতে নাকাল হয় পথচারীরা। কয়েকজন পথচারী, অটো ও বাস-ট্রাক চালক বলেন, রাস্তার বেহাল দশা। গাড়ি চালাতে সমস্যা হয়। ছোট-বড় গর্তের কারণে প্রায় সময় ঘটে দুর্ঘটনা। স্কুলগামী শিক্ষার্থী এবং রোগীদের চলাচলে বেশি অসুবিধা হয়।
স্থানীয় তাজ, জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, হিলি স্থলবন্দর থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করলেও প্রধান সড়কটির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। সড়কটির বেহাল দশা নিয়ে বারবার বৈঠক করা হলেও আজ পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় বলেন, হিলির সড়কে ফোর লেনের কাজ কিছু অংশে শেষ হয়েছে। তবে হিলি চারমাথা থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত কাজ শেষ হয়নি। ভূমি অধিগ্রহণে সমস্যার কারণে কাজ বন্ধ আছে। শিগগিরই ভূমি অধিগ্রহণ শেষে রাস্তার কাজ শুরু হবে।