যশোরে এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে পাকা ও আধাপাকা ধান দোল খাচ্ছে। আশানুরূপ ফলন হলেও ঝড়বৃষ্টির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসার আগেই খেতের ধান ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত তারা। ঝড়বৃষ্টির ক্ষতি এড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চাষিদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ৮০ শতাংশ পাকলেই ধান কেটে ফেলতে বলা হচ্ছে। দ্রুত ধান কাটতে ও মাড়াই করতে রিপার এবং হার্ভেস্টার ব্যবহারে উৎসাহী করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, প্রয়োজনে অন্য জেলা থেকে শ্রমিক আনতে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ঝড়বৃষ্টির ক্ষতি এড়াতে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বেশির ভাগ ধান কেটে ফেলতে হবে।’ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত জেলায় ২০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। আর দুই সপ্তাহের মধ্যে বেশির ভাগ ধান কাটা শেষ হবে আশা করছেন তারা। কিছু ধান দেরিতে রোপণ করায় সেগুলো কাটতে আরও সময় লাগবে। অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এবার জেলায় উৎপাদিত ধান থেকে ৭ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, অনেক ক্ষেত্রে বিনামূল্যে বীজ-সার প্রদান, কৃষক প্রশিক্ষণ, ধানের বাজারমূল্য বৃদ্ধি, সারপ্রাপ্তি নিশ্চিত, আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার এবং কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানের কারণে এবার বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। সদর উপজেলার কৃষক রেজাউল এবার দুই বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ জাতের ধানের আবাদ করেছিলেন। তার জমির ধান কাটা ও মাড়াই গত রবিবারই শেষ হয়েছে। ধানের ফলনে খুশি তিনি। বাঘারপাড়ার কৃষক আবদুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু করেছেন তিনি। কাটা শেষ হতে কয়েকদিন লাগবে। এর মধ্যে ঝড়বৃষ্টি না হলে এবং বাজারে দাম ভালো থাকলে চাষিরা লাভবান হবেন।