সুন্দরবনে জীবিকার তাগিদে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেও নানা সমস্যায় ক্ষতির শিকার হচ্ছেন বনজীবী জেলে মৌয়াল বাওয়ালিরা। অনেক সময় তাদের পাস-পারমিটের রাজস্বের টাকাও ওঠে না। সুন্দরবন সংলগ্ন পাঁচ জেলার ২ লক্ষাধিক দরিদ্র জেলে মৌয়াল বাওয়ালি ১২ হাজার নিবন্ধিত নৌকা-ট্রলার নিয়ে মাছ, কাঁকড়া, মধু, মোম, গোলপাতা ও মালিয়া ছন আহরণ করে, জানায় বন বিভাগ। রাজস্ব পরিশোধের বিনিময়ে পাস-পারমিট নিয়ে মাছ, কাঁকড়া, মধু, মোম, গোলপাতা ও মালিয়া ছন আহরণ করা হয়ে থাকে। বাগেরহাটের পূর্ব সন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলাসহ আলোরকোল, মাঝের কিল্লা, নারকেলবাড়িয়া ও শ্যালারা চরে অস্থায়ী শুঁটকি জেলেপল্লীতে প্রতি বছর ১ নভেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলে সর্ববৃহৎ সামুদ্রিক মাছ আহরণ করে শুঁটকি উৎপাদন। জেলে মো. জাহিদ বহাদ্দার ও ফরিদ আহমেদ জানান, চরগুলোতে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। হাজার হাজার জেলের জন্য নিরাপদ খাবার পানি সংকট ও সরকারিভাবে চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা নেই। পানিবাহিত নানা রোগ ও বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে প্রতি বছর বহু জেলের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া সাগরতীরের এ চরগুলোতে পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় প্রতি বছর ঝড়-জলোচ্ছ্বাসেও অনেকের মৃত্যু হয়। শরণখোলার ইসমাইল মহানাজ ও মোংলার অভিজিৎ সরকার বলেন, সুন্দরবনের জলভাগে এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। এক শ্রেণির জেলে নামধারী দুর্বৃত্ত অধিক মুনাফার লোভে ভাটার সময় জাল পেতে নদীখালে বিষ দেয়। এ কারণে মাছ মরে যায়। এতে সুন্দরবনের মৎস্য ভান্ডার বিনাশ হচ্ছে। এখন আর আগের মতো মাছ ও কাঁকড়া পাই না। কখনো কখনো আমাদের পাস-পারমিটের রাজস্বের টাকাও ওঠে না। গত মৌসুমে ৭৫ হাজার ৪৪২ কুইন্টাল শুঁটকি আহরণ করা হয়। একই সময়ে সুন্দরবনের ৪৫০টি নদী খাল থেকে জেলেরা নিবন্ধিত নৌকা-ট্রলার দিয়ে ৭৫০ টন ইলিশ ও ১৭ হাজার ১৫১ কুইন্টার অন্য মাছ ও কাঁকড়া আহরণ করে। সুন্দরবনে মার্চ থেকে শুরু হয় তিন মাসব্যাপী মধু আহরণ মৌসুম। গত মৌসুম শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জ থেকে ৩৬৫টি পাস-পারমিট নিয়ে ২ হাজার ৪৫০ মৌয়াল ৯৫৩ দশমিক ৫০ কুইন্টাল মধু ও ২৮৬ দশমিক ১০ কুইন্টাল মোম আহরণ করেছিল। শরণখোলার মৌয়াল নুরুল ইসলাম ও আউয়াল খান জানান, মধু আহরণ নৌকা মেরামত, ১৪ দিনের খাবার ও মহাজনের কাছ থেকে দাদনে টাকা পরিশোধ করে মৌয়ালদের কিছুই থাকছে না। গত মৌসুমে সুন্দরবনের চারটি গোলপাতা কুপ থেকে ২ হাজার কুইন্টাল গোলপাতা ও ৫৫০ কুইন্টাল মালিয়া ছন আহরিত হয়। বাওয়ালি এনাম হোসেন জানান, মালিয়া ছন ও গোলপাতায় ভালো ব্যবসা নেই। ডিএফও মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হলেও নানা সংকটে বাওয়ালি ও মৌয়ালদের মধ্যে আগ্রহ একটু কম থাকায় চলতি মৌসুমে মালিয়া ছন, গোলপাতা ও মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নাও হতে পারে।
শিরোনাম
- মানবিক করিডর নিয়ে কোনও চুক্তি হয়নি: খলিলুর রহমান
- মির্জা ফখরুলের সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
- ইজারা বিজ্ঞপ্তি স্থগিত, আফতাবনগরে পশুর হাট নয় : হাইকোর্ট
- ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্রে কেঁপে উঠল তেল আবিব, ইসরায়েলের ১০০ এলাকায় সাইরেন
- বুকে টিউমার ও প্রতিকার
- হজযাত্রীদের ভিসা আবেদন সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে করতে হবে
- রান্না ছাড়াও লবণের একাধিক ব্যবহার
- সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গুলশানের বাসা থেকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৫ নেতা গ্রেফতার
- নিখোঁজের তিনদিন পর কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
- তালাক ছাড়াই দ্বিতীয় সংসার, পুলিশের হেফাজতে দম্পতি
- আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা : পাঁচ দিনে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
- মুকসুদপুরে নকলমুক্ত এসএসসি পরীক্ষা, মেধা বিকাশে নতুন দৃষ্টান্ত
- শেরপুরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত
- তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া
- ‘পুষ্পা’ ও ‘কেজিএফ’ এর ব্যবসা সফল হওয়া নিয়ে মুখ মুখলেন নাগার্জুন
- ‘ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরিতে সবাইকে একটু ছাড় দিতে হবে’
- চুপিচুপি চাষ হচ্ছে ‘পিরানহা’, ‘রূপচাঁদা’ বলে দেদারসে বিক্রি
- সৌদি সফরকালে আরব নেতাদের সঙ্গে শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন ট্রাম্প!
- ভারতকে ১৩১ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম দেয়ার অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
- পাকিস্তানি নারীর সঙ্গে অনলাইনে প্রেম ও বিয়ের জেরে চাকরি গেল ভারতীয় জওয়ানের
সুন্দরবনে নানা সমস্যায় বনজীবীরা
কষ্টে আছেন ২ লক্ষাধিক দরিদ্র জেলে মৌয়াল বাওয়ালি
শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর