বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় যেখানে-সেখানে। এসব গিয়ে পড়ে নদীনালা, খালবিলে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানিপ্রবাহ। বর্ষা মৌসুমে জেলায় সর্বত্র দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে পৌর শহরের অধিকাংশ এলাকায়। ভোগান্তিতে পড়েন পৌরবাসী।
নেত্রকোনা পৌর শহরের প্রায় ৬ কিলোমিটারজুড়ে রয়েছে মড়া নদী। পাশাপাশি আছে ধলাই নদীসহ অসংখ্য ছোটবড় খাল। সবগুলোর ভিতরে পানি প্রবেশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্জ্য ও প্লাস্টিক। যত্রতত্র মানুষ আবর্জনা নিয়ে ফেলছে। এত বন্ধ হয়ে গেছে নদীনালা, খালবিলে পানি নামার পথ।
মজিবুর রহমান নামের একজন এনজিও কর্মকর্তা বলেন, কাটলি এলাকায় বাসা করেছিলাম। জায়গা ছিল প্রচুর। প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দর। দুই-তিন বছর ধরে হাতে জুতা নিয়ে যেতে হয়। বাইরে টিউবওয়েলে পা ধুয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করতে হয়। গ্রামের পরিস্থিতি এখন শহরে। এর প্রধান কারণ খাল-নদীনালা ভরাট এবং যেখানে-সেখানে বাঁধ দেওয়া। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফল এটি। কায়েস নামে এক বাসিন্দা জানান, পানি নামার সব পথ বন্ধ। ভারী বৃষ্টি হলে হাঁটুপানি জমে। যে যেখানে খুশি আবর্জনা ফেলছে। ময়লা ফেলার নির্ধারিত কোনো স্থান নেই। সবাই ট্যাক্স-ভ্যাট দিই। কিন্তু নাগরিক সুবিধা পাচ্ছি না। এগুলো কর্তৃপক্ষের দেখা প্রয়োজন। ওসমান গনি নামে একজন বলেন, কাটলি এপেক্স হাসপাতালের সামনের কালভার্ট দিয়ে পানি নামে না। যে কারণে নদী বা খালে পানি যায় না। হাওরে বর্ষায় যে পানি থাকার কথা সে পানি নেই। কারণ পানি যাওয়ার ব্যবস্থাই নেই। নেত্রকোনা পৌরসভার প্রশাসক আরিফুল ইসলাম সরদার বলেন, নদী নিয়ে ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া জনস্বাস্থ্য থেকে কিছু প্রকল্প আসছে। ময়লা-আবর্জনা প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ চলছে।