কুড়িগ্রামের রাজারহাটে একটি সেতু ২০১৭ সালে ভেঙে যায়। এরপর পেরিয়ে গেছে আট বছর। দীর্ঘ এ সময়েও সেতুটি নির্মাণ কিংবা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মেকলী ও ছাট কালুয়া গ্রামের পাশে রয়েছে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে থাকা সেতুটি। বন্যার পানির তোড়ে ২০১৭ সালে সেতুটি ভেঙে যায়। নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী ভাঙা সেতুর নিচ দিয়ে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে কোনোমতে চলাচল করে আসছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সেটিও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে মহাবিপাকে পড়েছেন স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ ওই এলাকার ১২ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সংস্কার না হওয়ায় তাদের অভিযোগ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ওপর। আট বছর ধরে এমন ভোগান্তিতে তারা চলাচল করলেও নজর পড়েনি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টদেরও। সরেজমিন দেখা যায়, ছিনাই ইউনিয়নের এ সেতুর বেশির ভাগ অংশই ভেঙে পড়েছে। আংশিক সঙ্গেই রয়েছে ঝুলে। সেতুর নিচে বাঁশ ও ড্রাম দিয়ে তৈরি করা সাঁকোটিও চলাচলের অনুপযোগী। সাঁকোটির এ অবস্থায়ও অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। কেউ কেউ রাস্তা ঘুরে কয়েক কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের চলতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাদের প্রতিদিন কলাগাছের ভেলায় পারাপার হয়ে যেতে হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। আবার অনেকেই পার হন পানি সাঁতরিয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, ভয়াবহ বন্যায় সেতুটির নিচের অংশের মাটি দেবে যায়। পরে মাটি সরে গিয়ে বেশির ভাগ অংশ ভেঙে অচল হয়ে পড়ে। তখন থেকে চলাচলে কষ্ট শুরু হয় ছিনাই ইউনিয়নসহ পাশের ১০-১২ গ্রামের মানুষের। প্রতি বছর বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত করলেও এবার তা ভেঙে অচল হয়ে পড়েছে।
ছাটকালুয়া গ্রামের আবুল হোসেন জানান, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর আমরা বাঁশ ও ড্রামের ওপর নির্মাণ করি সাঁকো। সেটিও ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউনুস আলী বিশ্বাস বলেন, আমি ইতোমধ্যেই ওই সেতু দেখেছি। বন্যায় ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি সংস্কার কাজ খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুরু করতে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।