গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া খালের ওপর সেতু নির্মাণ হলেও নেই সংযোগ সড়ক। সড়কের অভাবে সেতুটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না। বিপাকে পড়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, পথচারী, কৃষকসহ সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী সেতুর দুই পাশের সাঁকোতে চাটাই বিছিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসসূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্রামে খালের ওপর ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা। নির্মাণ কাজ শেষ হয় ছয় মাস আগে। এখনো দুই পাশে মাটি ভরাট করা হয়নি। সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাচল করতে পারে না কোনো যানবাহন। ভোগান্তির শেষ নেই এলাকাবাসীর। সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর দুই পাশে বাঁশ ও চাটাই দিয়ে সাঁকো বানিয়ে মানুষ পারাপার হচ্ছেন। সাঁকোটিও খুব নড়বড়ে। সেতুর দুই পাশে রয়েছে বাজার, কয়েকটি প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসা। স্থানীয়রা জানান, সেতু হয়েছে কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় তা কোনো উপকারে আসছে না। ইতোমধ্যে সাঁকো পার হতে গিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বই-খাতা পানিতে পড়ে ভিজে নষ্ট হয়েছে। স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় সন্তান পাঠিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকেন অভিভাবকরা। স্থানীয় ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, সেতু নির্মাণ করে কী লাভ। যদি সেতুতে যাওয়ার সড়ক না থাকে। বর্তমানে গাড়িঘোড়া নিয়ে চলাচল করা কষ্ট হয়েছে এলাকাবাসীর। তাছাড়া সেতুর কাজও ভালো হয় নাই। ঠিকাদার নুর মওলা বলেন, এখন সেতুর এলাকার চারপাশে পানি। সে কারণে মাটি ভরাট সম্ভাব হচ্ছে না। তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ছয় মাস আগে। ঠিকাদার চলে গেছেন। দুই পাশে মাটি ভরাটের কোনো খবর নাই। ঠিকাদারের সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান বলেন, ঠিকাদারকে এখনো বিল দেওয়া হয়নি। মাটি ভরাট করার পর বিল দেওয়া হবে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। জনস্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।