সুন্দরবনে পশুর চ্যানেলে দুই সপ্তাহ আগে কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া কার্গোটির উদ্ধারকাজ অবশেষে আজ মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম শেষ করতে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী ঠিকাদার আব্দুস সাত্তার।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই ষ্টেশন কর্মকর্তা ফরেষ্ট রেঞ্জার গাজী মতিয়ার রহমান বলেন, ধীরে ধীরে পশুর নদীর পানির নিচে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া কর্গোটি উদ্ধারে মালিক পক্ষ মঙ্গলবার সকাল থেকেই উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে। কার্গোটিকে উদ্ধার করতে মালিকের উদ্ধারকারী ভাড়া করা নৌযান এমভি তানজিল-১ সকাল থেকে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে। আর ঘটনাস্থল দেখভাল ও নজরদারিতে রয়েছে সুন্দরবন বিভাগের কর্মীরা।
কার্গোটির মালিক দিলদার খান জানান, প্রথমে কয়লা উত্তোলন শেষে ডুবে যাওয়া কার্গোটি টেনে পশুর নদীর চরে আনা হবে। পরে উদ্ধারকারী জাহাজের সাথে বেঁধে খুলনা শীপইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। উদ্ধার কার্যক্রম শেষ করতে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) কাজী গোলাম মোক্তাদের বলেন, জাহাজটি বর্তমানে মংলা বন্দরের মূল চ্যানেলের বাইরে নিমজ্জিত থাকায় এই চ্যানেল দিয়ে জাহাজ ও নৌযান চলাচলে কোন ঝুঁকি নেই।
এমভি জিয়ারাজ নামের ওই কার্গোটি ৫১০ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই করে খুলনায় যাবার পথে ২৭ অক্টোবর রাতে সুন্দরবনের পাশে পশুর চ্যানেলে তলা ফেটে ডুবে যায়। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের পক্ষ থেকে এই কার্গো ডুবির ঘটনায় মংলা থানায় পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ কার্গোর মাষ্টার বুলু গাজীকে আটক করেছে। অন্য আসামি কার্গোরটির মালিক দিলদার খান এখনও পুলিশের খাতায় পলাতক রয়েছে। মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান জানান, কার্গোর মালিককে আটকের চেষ্টা চলছে। একই সাথে মামলার তদন্ত কাজ এগিয়ে চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/১০ নভেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ