শেরপুরে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে প্রধমে ধর্ষণ এবং পরে তা মোবাইলে ভিডিও ক্লিপ প্রচার করার অপরাধে দুই ধর্ষকে আটক করেছে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ।
আটক ধর্ষকরা হলো ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা খামার পাড়া গ্রামের আবুল কুলির ছেলে ট্রলি চালক আলাউদ্দিন (২৫) এবং পাশ্ববর্তী নালিতাবাড়ি উপজেলার দোহালিয়া গ্রামের মৃত ইউছুফ আলীর ছেলে শাহীন (২৬)।
এ ঘটানায় ওই প্রতিবন্ধী মেয়ের নানী ময়না বেগম বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের বড় ডুবি গ্রামের দিন মজুর হায়দার আলী এবং তার স্ত্রী রহিমা বেগম তাদের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়ে হাসি বেগম (১৫) ওরফে হাসি পাগলিকে গ্রামের বাড়িতে তার নানী ময়না বেগমের (৭০) কাছে রেখে ঢাকায় দিন মজুরের কাজ করে। বিগত প্রায় ৫ মাস আগে সে কাউকে কিছু না বলে একা একা তার দাদীর বাড়ি পাশ্ববর্তী নালিতাড়ি উপজেলার নন্নী গ্রামে রওনা হয়। এদিকে পথিমধ্যে টেংরাখালি নামক স্থানে এলে স্থানীয় দুই যুবক তাকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী টের পেয়ে ফুসলিয়ে বিয়ে এবং ভালো খাবার দেয়ার প্রলেভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষকরা তাদের মোবাইলে যৌন হয়রানীর দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে তাকে ছেড়ে দেয়। এদিকে ওই প্রতিবন্ধী দাদীর বাড়ি হয়ে আবারও তার নানীর কাছে ফিরে আসলেও ধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে কিছু বলেনি। এদিকে গত এক সপ্তাহ আগে মালিঝিকান্দা এবং তিন আনী বাজার এলাকায় বিভিন্ন যুবকের মোবাইলে ওই যৌন হয়রানীর দৃশ্য ছড়িয়ে দেয়া হয়। এতে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।
অপরদিকে বিষয়টি স্থানীয় সচেতন মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হলে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে প্রশ্ন করা হলে সব ঘটনা খুলে বলে। পরে বিষয়টি শেরপুরের এএসপি সার্কেল মো. শাহজাহান মিয়াকে অবগত করলে তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের আশ্বাস দেয় এবং ৮ নভেম্বর সোমবার ভোরে ভিডিও ফুটেজ দেখে যুবকদের সনাক্ত করে আটক করে।
এব্যাপারে এএসপি সার্কেল মো. শাহজাহান মিয়া জানান, ঘটনাটি খুবই নেক্কারজনক। দোষীদের অপকর্মের সাজা পেতেই হবে। প্রাথমিক ভাবে ধর্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৮ ডিসেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন