বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আঞ্জুয়ারা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূক শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী দুলাল প্রামাণিক ও সতিন চায়না খাতুন পলাতক।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় ধুনট উপজেলার উত্তর কান্তনগর বাঁশহাটা গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে পুলিশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শজিমেক) মর্গে মরদেহ পাঠিয়েছে। নিহত গৃহবধু আঞ্জুয়ারা ধুনট উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।
নিহতের ভাই আব্দুল হান্নান জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে আঞ্জুয়ারা বেগমকে উত্তর কান্তনগর বাঁশহাটা গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে দুলাল প্রামানিকের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে এক মেয়ে ও দুই ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। পারিবারিক কারণে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার বিকালের দিকে আঞ্জুয়ারা তিন সন্তান দোলেনা খাতুন ও হাসান-হোসেনকে কৌশলে রাঙ্গামাটি গ্রামে নানার বাড়িতে রেখে আসেন সতিন চায়না খাতুন।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এরপর বাড়ি ফিরে সন্ধ্যায় আঞ্জুয়ারাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মৃতদেহ ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে দুলাল ও চায়না খাতুন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। প্রতিবেশীর কাছে সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার রাতে উত্তর কান্তনগর বাঁশহাটা গ্রামে দুলালের বাড়িতে যান নিহত গৃহবধূর স্বজনরা। পরে আজ বুধবার সকালের দিকে ধুনট থানা পুলিশকে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়।
ধুনট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পঞ্চনন্দ সরকার জানান, নিহত গৃহবধু আনজুয়ারা খাতুনের গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী দুলাল ও সতিন চায়না খাতুন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/৯ ডিসেম্বর ২০১৫/শরীফ