যৌতুকের দুই লাখ টাকা পরিশোধ না করায় গৃহবধূ নিলুফা বেগমকে (২০) পিটিয়ে গুরুতর আহত করে অবরুদ্ধ করে রেখেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার রাতে অবরুদ্ধ গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের মেদাকুল গ্রামের।
জানা গেছে, মেদাকুল গ্রামের আব্দুল হক ফকিরের পুত্র সজল ফকির গত তিনবছর পূর্বে সামাজিকভাবে পাশ্ববর্তী মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার পাখিরা গ্রামের সিকিম আলী মৃধার কন্যা নিলুফাকে বিয়ে করেন। নিলুফার বড় ভাই বেলাল মৃধা জানান, বিয়ের সময় বর পক্ষের দাবিকৃত নগদ ১ লাখ টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণালংকার পরিশোধ করা হয়। বিয়ের মাত্র তিন মাস পরেই সজল ফকির তার বোনকে বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য চাঁপ প্রয়োগ করে। এসময় নিলুফা অপরাগতা প্রকাশ করায় তাকে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে সজলকে ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি সজল নতুন করে দুইলাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য নিলুফাকে চাপ সৃষ্টি করে। সে (নিলুফা) অপরাগতা প্রকাশ করায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে মারধর করে বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়া হয়। পুনরায় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নিলুফাকে তার স্বামী সজল ঘরে তুলে নেয়। শুক্রবার দুপুরে সজলের দাবিকৃত দুই লাখ টাকার জন্য পুনরায় সজল ও তার পরিবারের লোকজন নিলুফাকে নির্যাতন করে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে।
স্থানীয়রা ওইদিন সন্ধ্যায় বিষয়টি গৌরনদী থানা পুলিশকে জানানোর পর থানার এস.আই মোঃ নজরুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে অবরুদ্ধ নিলুফাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এসময় নিলুফার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিলুফা বেগম বাদি হয়ে শনিবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন