বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে ‘ডলফিনের অভয়ারণ্য’ শ্যালা নদীতে তলাফেটে ডুবে যাওয়া কয়লাবোঝাই লাইটারেজ জাহাজটিকে রবিবার সকালে শনাক্ত করতে পেরেছে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিআইডাবলুটিএ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। তবে শুরু হয়নি কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া জাহাজটির উদ্ধার অভিযান।
এদিকে, এমভি ‘সী হর্স-ওয়ান’ নামের কয়লাবাহী লাইটারেজ জাহাজটি শ্যালা নদীতে ডুবে যাওয়ার কারণ ও ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ এই বনের ডলফিননহ জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। রবিবার সকালে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষককে (এসিএফ) কামাল উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটিকে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে তাদের তদন্ত রির্পোট ডিএফও’র কাছে দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান এসিএফ কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দুপুরে কমিটির অপর তিন সদস্য পূর্ব বিভাগের বন্যপ্রাণী সংরক্ষন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা রেঞ্জার গাজী মতিয়ার রহমান ও ঢাংমারী ষ্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের তাম্বুলবুনিয়া ক্যম্পের কলামুলা এলাকার শ্যালা নদীতে ১২শত ৩৫ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এমভি ‘সী হর্স-ওয়ান’ নামের কয়লাবাহী লাইটারেজ জাহাজটি ডুবে যায়। কয়লাবোঝাই এই লাইটারেজ জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে কয়লাবোঝাই করে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে যশোরের নোয়াপাড়া বন্দরে যাচ্ছিল। তবে এই ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে থাকা মাস্টারসহ ১৪ জন ক্রুকে ওই নৌপথ দিয়ে আসা ওয়েল ট্যাংঙ্কার নূর জাহানের ক্রুরা উদ্ধার করে রাতেই শরণখোলা রেঞ্জের বগী ফরেস্ট অফিসে নিয়ে আসে। শ্যালা নদীতে এবার কয়লাবোঝাই লাইটারেজ জাহাজ ডুবির ফলে আবারও সংকটে পড়েছে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবন। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা