সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ইউএনও রেজাউল বারী তার অধীনস্থ নাইট গার্ডকে অফিসে আটকে অন্যান্য কর্মকর্তার সামনে বেধড়ক পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে উপজেলায় কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। লোক-লজ্জায় নাইটগার্ড আব্দুল আজিজ গত দু'দিন ধরে ঠিকমত অফিসও করছেন না।
নাইট গার্ড আব্দুল আজিজ সোমবার (২ মে) বিকেলে বলেন, কয়েকদিন আগে উপজেলার টেকশিয়ান মাহমুদুলের হেফাজতে থাকা একটি আইপিএস হারিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে অফিসে তোলপাড় চলছিল। অনেকে নাইটগার্ডদের দোষারোপ করে। মাঝে-মধ্যে টেকশিয়ান ইচ্ছেমতো কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি বাইরে নিয়ে যান। এ অবস্থায় কোন কিছু হারালেই নাইট গার্ডদের দোষারোপ করা হয়। এজন্য বুধবার অফিসে গিয়ে টেকশিয়ান মাহমুদুলকে বলেছি স্যার, লিখিত ছাড়া কোন জিনিস কেউ বাইরে নিতে গেলে আমরা নাইটগার্ডরা আটকে দেব। টেকশিয়ান আলমগীর বিষয়টি ইউএনও স্যারকে উল্টা-পাল্টা করে বোঝায়। বৃহস্পতিবার সকালে অফিসে আসামাত্র ইউএনও স্যার আমাকে অফিসের ভিতর ডাক দিয়ে নিয়ে যান। কোন কিছু না বলে সরাসরি শার্টের কলার ধরে কিল-ঘুষি-চড় থাপ্পড় মারতে থাকেন। 'আমি কী অপরাধ করেছি'- এমন কথা বললে তিনি আরও রেগে গিয়ে আমাকে মেঝেতে ফেলে বুট দিয়ে লাথি মারেন। পরে স্ট্যানো স্যার আমাকে উদ্ধার করে এবং ইউএনও স্যারের পা ধরে ক্ষমা চাওয়ায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা ছোট কর্মচারী। তাই অফিস স্টাফ ও বাইরের লোকের সামনে এভাবে স্যার আমাকে বাইরের লোকজনের সামনে অন্যায়ভাবে মারপিট করেছে। এ বিচার কাকে দিবো? তাই আল্লাহকে বিচার দিয়েছি। অন্যায় করলে তিনি শোকজ করতে পারতেন? এভাবে মারপিট করা কোন আইনে লেখা রয়েছে?
একই রুমে থাকা আরেক কর্মচারী ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সামাদ জানান, মোবাইলে সব কথা বলা যাবে না। তবে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, দেশে কোন ন্যায় বিচার নাই।
তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল বারী জানান, মারপিট করা হয়নি। শুধু ধমক দেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ