ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ প্রভাবে পিরোজপুরে শুক্রবার সকাল থেকে অবিরাম বর্ষণ চলছে। তবে দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার অবস্থা বেশি অবনতি হতে থাকে। দুপুরের পরই অবিরাম বর্ষণের পাশাপাশি অনেকটাই অন্ধকার হয়ে পড়ে। ফলে জনসাধারনের মধ্যে শংঙ্কা দেখা দেয়।
জেলার মধ্যে বেশি আতংকে আছে সমুদ্র নিকটবর্তী মঠবাড়িয়া ও জিয়ানগরের মানুষ। এ দুই উপজেলায় সিডর ও আইলায় ব্যপক ক্ষতি হয়েছিল।
জেলার পাড়েরহাট, চড়খালী জেলে পল্লীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলো উপকুলীয় নিরাপদ এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে বলে পাড়েরহাট মৎস্য বন্দর সুত্রে জানা গেছে। জেলার মঠবাড়িয়া, জিয়ানগর, ভান্ডারিয়া সহ সকল উপজেলায় সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু মোকাবেলায় পিরোজপুর প্রসাশনের পক্ষ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদে করা হয়েছে জরুরি দুর্যোগ প্রস্তুতি সভা। চালু করা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। রোয়ানু’র আঘাত থেকে রক্ষা পেতে জনসাধারণকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে নিরাপদে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চাইতে ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন