অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন দেশটির ৬০ সংসদ সদস্য (এমপি)।
চিঠিতে তারা গাজা উপত্যকার সকল ফিলিস্তিনিকে রাফার ধ্বংসস্তূপে গড়ে ওঠা একটি ক্যাম্পে জোরপূর্বক স্থানান্তরের ইসরায়েলি পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এই পদক্ষেপ প্রতিহত করতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিকে পাঠানো চিঠিতে লেবার দলের এমপিরা তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, আমরা গভীর তৎপরতা ও উদ্বেগের সঙ্গে আপনাকে লিখছি। কারণ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন- তিনি গাজার সকল ফিলিস্তিনি নাগরিককে রাফাহ শহরের ধ্বংসাবশেষে নির্মিত একটি শিবিরে জোরপূর্বক স্থানান্তর করতে চান এবং তাদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেবেন না।
চিঠিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, ইসরায়েলি মানবাধিকার আইনজীবী মাইকেল স্ফার্ড এই পরিকল্পনাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের একটি কার্যকর রূপরেখা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তার মতে, এটি মূলত গাজার জনসংখ্যাকে দক্ষিণ প্রান্তে ঠেলে সরিয়ে দেওয়ার পর তাদের উপত্যকা থেকে স্থায়ীভাবে বিতাড়নের প্রস্তুতি। এমপিরা স্পষ্টভাবে বলেন, এটিকে আরও সরলভাবে বলা যায়- এটি গাজায় জাতিগত নিধন। এই চিঠির আগেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে বক্তব্য রাখেন।
এই আন্তর্জাতিক অবস্থান আরও জোরালো সমর্থন পেয়েছে ব্রিটিশ এমপিদের ঐক্যবদ্ধ চিঠির মাধ্যমে। চিঠিতে এমপিরা তিনটি মূল দাবি তুলেছেন। তা হলো- ১. ইসরায়েলের রাফাহ পরিকল্পনা প্রতিহত করা। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট রূপ এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
২. ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া। ব্রিটেনের উচিত দেরি না করে অবিলম্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া, যা মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই শান্তির পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। ৩. আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা। ইউরোপীয় ও অন্যান্য মিত্রদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে হবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/একেএ