মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) অন্তত চারটি ক্যাম্পে ভারতীয় সেনাবাহিনী হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। রবিবার ভোরের দিকে শতাধিক ড্রোন ব্যবহার করে ভারতের সামরিক বাহিনীর চালানো এই হামলায় উলফার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। হামলায় উলফার ১৯ জন সদস্য নিহত ও আরও ১৯ জন আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। তবে, মিয়ানমারে হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, আসামে উলফার চারটি ক্যাম্পকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। হামলার পর এ অভিযোগ তুলেছে নিষিদ্ধ সংগঠন উলফা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত উলফার একাধিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে শক্তিশালী অভিযান পরিচালনা করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। শতাধিক ড্রোন ব্যবহার করে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একাধিক ঘাঁটিতে নির্ভুলভাবে আঘাত হেনেছে তারা।
দেশটির একটি সূত্র বলেছে, হামলায় উলফার কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। নিহতদের মধ্যে উলফার অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা ও সংগঠনটির সামরিক শাখার জ্যেষ্ঠ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল নয়ন অসমও রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ বিদ্রোহী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম-ইন্ডিপেনডেন্টের (উলফা-আই) মিয়ানমারে অবস্থিত পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতরে ড্রোন হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
রবিবার ভোরের দিকে মিয়ানমারে গোষ্ঠীটির পূর্বাঞ্চলীয় ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে উলফা-আই। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি অভিযোগ করে, সীমান্ত অতিক্রম করে তাদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই হামলায় উলফা-আইয়ের অন্তত ১৯ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া, আহত হয়েছেন অন্তত ১৯ জন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উলফা-আইয়ের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার নয়ন মেধি ওই হামলায় নিহত হয়েছেন। মণিপুরের বিদ্রোহী সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) রাজনৈতিক শাখা রেভল্যুশনারি পিপলস ফ্রন্টের (আরপিএফ) কয়েকজন সদস্যও হতাহত হয়েছেন।
যদিও বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত বলেছেন, এ ধরনের কোনো অভিযানের তথ্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে নেই।
বিডি প্রতিদিন/কেএ