বগুড়ার নারচী ইউনিয়নের বিলপাড়া গ্রামের শাহিদা বেগম কৃষি পরিবারের সন্তান। বিয়ের পর থেকে তিনি সরাসরি বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদের সাথে যুক্ত হন। আর্থিক অনটনের জন্য নয়, পরিবারের আয় বাড়াতে। ১২ বছর যাবৎ সবজি চাষ করছেন শাহিদা। এবার আগাম জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। কপিগুলো উত্তোলন, বাজারজাত করতে আরো প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হবে। এর মধ্যে কিছু বাঁধা কপি ও ফুলকপি বাজারে বিক্রি করে ৩০ টাকা আয় করেছেন।
আর বাকি বাধাকপি ও ফুল কপি থেকে শাহিদা প্রায় পাঁচ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন। বাজারে সবজির চাহিদা ও দাম না কমলে আয় আরও বেশি হতে পারে। উঁচু জমিতে চারা গাছের বয়স যখন ২৬ দিন তখন তিনি তা উত্তোলন করে নিয়ে এসে রোপন করেছেন ভাদ্র মাসের শেষ সপ্তাহে। চারা রোপনের পর থেকে তিনি চার বার নিড়ানি দিয়েছে জমিতে। বৃষ্টির পানি জমে থাকার হাত থেকে রক্ষার জন্য সর্বদা জমিতে কড়া নজরদারিতে রেখেছেন। রোপনের পর থেকেই তিনি হাঁড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ওই সবজি জমিতে।
শাহিদা জানান, দুই সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে বাজারজাত করতে পারবেন কপিগুলো। ঢাকার বিভিন্ন কাঁচা বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা তার কাছে সবজি ক্রয় করার জন্য খোঁজ নিচ্ছেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শাহাদত জামান বলেন, লাভবান হওয়ায় চাষীরা ধানের পরিবর্তে সবজি চাষ করছেন বেশি। নারচী বিল পাড়া গ্রামের শাহিদা বেগম নিজে সবজি চাষ করে লাভবান হয়েছেন। তিনি নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলতা অর্জন করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/১৯ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা