রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জঙ্গিবিরোধী কনসার্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জনমনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থল থেকে শেষ মুহূর্তে কয়েক হাজার দর্শক ফিরে গেছেন। শুক্রবার বিকেল তিনটার পর থেকে কনসার্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা বলছেন, কনসার্টে স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী উপস্থিত থাকতে না পারার কারণে নিরাপত্তার ‘অজুহাত’ দিয়ে তা বন্ধ করা হয়েছে। এতে আয়োজকরা আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন।
গোদাগাড়ীর মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্রি কলেজে শুক্রবার বিকেল তিনটার পর থেকে জঙ্গিবিরোধী কনসার্টের আয়োজন করা হয়। এতে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পীদের অংশ নেয়ার কথা ছিল। কনসার্টের প্রস্তুতি হিসেবে গত এক সপ্তাহ থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। আয়োজক মশিউর রহমান জানান, কনসার্টের প্রস্তুতি হিসেবে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করা হয়। কনসার্টের জন্য অনুমতিও মেলে। এরপর নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কনসার্ট স্থল পুরোটাই টিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়। তৈরি করা হয় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত আধুনিক স্টেজ। পুরো উপজেলাজুড়ে চালানো হয় প্রচারণা। পুরো প্রস্তুতির জন্য তাদের কয়েক লাখ টাকা ব্যয় হয়। ঢাকা থেকে রাজশাহীও চলেও আসেন আমন্ত্রিত শিল্পীরা। তাদেরকে রাজশাহী নগরীর একটি বিলাসবহুল হোটেলে রাখা হয়। সম্মানী হিসেবেও দেওয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। কিন্তু কনসার্ট শুরুর মাত্র আধা ঘণ্টা আগে পুলিশ নিরাপত্তার ‘অজুহাত’ তুলে তা বন্ধ করে দেয়।
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বদরুজ্জামান রবু মিয়া বলেন, কনসার্ট কী কারণে বন্ধ হয়েছে আমার জানা নেই। তবে সাংসদ অনুপস্থিত থাকার কারণে নিরাপত্তার ‘অজুহাত’ দিয়ে কনসার্ট বন্ধ করার অভিযোগ সঠিক না। কারণ, শুক্রবার সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
কনসার্ট বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি বলেন, কনসার্টের পক্ষে-বিপক্ষে দুটি গ্রুপ অবস্থান নেয়। এ কারণে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় এনে কনসার্ট বন্ধ করে দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/১৯ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা