মাদারীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যস্ত হয়েছে উঠেছেন একাধিক নেতা। তবে সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে বিএনপি। তাই তাদের প্রার্থীদের মাঝেও তেমন আগ্রহ নেই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া অন্য দলের প্রার্থীরা মাঠে নেই। মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মাদারীপুরের প্রভাবশালী নেতা, মন্ত্রী, এমপির মন জয়ের চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচারণা।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন মাদারীপুর জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক মো. মিয়াজ উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন মোল্লা, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনির চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম বজলুর রহমান মন্টু খান, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজ ফরাজী, মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন হাওলাদার প্রমুখ।
জেলা পরিষদের আওতাধীন এলাকাকে ১৫টি সাধারণ এবং ৫টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে বিভক্ত করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ৫৯টি ইউনিয়ন এবং ৪টি পৌরসভা নিয়ে মাদারীপুর জেলা পরিষদ। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভা সমূহের মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভোটেই নির্বাচিত হবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
নির্বাচনের বিষয়ে জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক মো. মিয়াজউদ্দিন খান বলেন, জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করছি। সামর্থ্য অনুযায়ী জেলার উন্নয়নে কাজ করেছি। দল যোগ্য মনে করলে আবার মনোনয়ন পাব। নেত্রী নিশ্চয় আমাকে মূল্যায়ন করবেন।
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন মোল্লা বলেন, আমি জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। যদি দল মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচন করবো।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আমি মাদারীপুরের সবচেয়ে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা। আশা করি নেত্রী আমাকে আমার কাজের মুল্যায়ন করবেন।
মাদারীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আবুবকর সিদ্দিক আবু মুন্সি বলেন, জেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্র থেকে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। কেন্দ্রের নির্দেশনা পেলে আমরা নির্বাচনী প্রস্তুতি নিব। এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/২৩ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা